বৃষ্টিদিনে এক কাপ চয়ের সঙ্গে গরম গরম শিঙাড়া খেতে খেতে শুনতে পারেন কবীর সুমনের গান ‘এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই’। হেমন্তের এই বিকেলে বৃষ্টি আপনার ভালো লাগুক আর না লাগুক চায়ের সঙ্গে শিঙাড়া খেতে মন্দ লাগবে না। রইলো রেসিপি।
উপকরণ:
খামিরের জন্য: ময়দা ২ কাপ সাদা তেল ২০০ গ্রাম জোয়ান আধা চা-চামচ লবণ ও চিনি স্বাদমতো বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ পানি পরিমাণমতো পুরের জন্য: আলু ৪টি (বড়) কাঁচা মরিচকুচি ৩টি আদাবাটা ১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ হিং আধা চা-চামচ লবণ ও চিনি স্বাদমতো ধনিয়া-জিরা ভাজাগুঁড়া ১ টেবিল চামচ গরমমসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ চিনাবাদাম ভাজা ৫০ গ্রাম হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ ধনিয়াপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, শর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ
প্রণালী: একটি পাত্রে ময়দা, সাদা তেল, লবণ, চিনি, বেকিং পাউডার, জোয়ান একসঙ্গে ভালো করে ময়ান করে নিন। এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে মেখে ১০ মিনিটের জন্য রেস্টে রেখে দিন। এবার লেচি করে নিন, একটা লেচিতে দুটি শিঙাড়া তৈরি হবে।
পুর তৈরি: আলু ছোট টুকরা করে কেটে নিয়ে একটু ভাপ দিয়ে পানি ফেলে দিন। তারপর তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ও হিং ফোড়ন দিয়ে কেটে নেওয়া আলুগুলো ভেজে নিন। অল্প ভাজা হলে কাঁচা মরিচকুচি, আদাবাটা, লবণ, চিনি, ভাজা বাদাম, হলুদ, ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে একটু পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ভাজা হয়ে এলে ধনিয়া-জিরা গুঁড়া ও গরমমসলা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নেড়ে একদম মাখা মাখা করে নামিয়ে নিন।
আগে থেকে তৈরি করা লেচিগুলো একটা একটা করে লম্বা করে বেলে মাঝবরাবর কেটে নিতে হবে। তারপরএকখণ্ড নিয়ে তিন কোনা ভাঁজ করে তাতে পুর ভরে দিতে হবে। পুর ভরা হলে হাতে একটু পানি নিয়ে শিঙাড়ার মুখটা বন্ধ করে দিতে হবে।
সবশেষে গরম এবং ডুবো তেলে হালকা আঁচে শিঙাড়াগুলো ভেজে তুলতে হবে। বাদামি রং হলেই তুলে ফেলতে পারবেন। এরপর চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন গরম গরম শিঙাড়া।