যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চলতি বছর চতুর্থ চালানে ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ভারতীয় একটি ট্রাকে এই ডিম আমদানি হয়।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডিমের চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শেষ হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ১ হাজার ১০৪ বক্স ডিম নিয়ে ভারতীয় ট্রাক গতকাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৫৮ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য পড়ে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে চারটি চালানে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ পিস ডিম আমদানি করেছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে আরো ৪০ লাখ ডিম আসবে। এছাড়া আরো পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে ব্যানিজ্য মন্ত্রণালয়।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। প্রতিপিস ডিমের শুল্ক মূল্য ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে দশমিক ৭৫ পয়সা আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।