ন্যাশনাল ব্যাংক মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া শাখায় টাকা না পেয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে গ্রাহকেরা। আধা ঘণ্টা পর গ্রাহকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শতাধিক গ্রাহক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ গ্রাহকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
গত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে দেশের বেশ কয়েক ব্যাংক থেকে সরকারের ঘনিষ্ঠরা লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি। এতে সেই ব্যাংকগুলোর তারল্য না থাকায় সংকটে পড়েছে। তারা গ্রাহকদের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক অন্যতম।
ব্যাংকে টাকা জমা রাখা গ্রাহকদের মধ্য থেকে নাফিজ দেওয়ান, আবুল হোসেনসহ একাধিক পুরুষ ও নারী গ্রাহক জানান, ব্যাংকে তাদের সঞ্চিত টাকা নিজের প্রয়োজনে উঠাতে এসে তিন মাস হয়রানি হতে হচ্ছে। দু’-একদিন পর পর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্যাংকে অপেক্ষা করে খালি হাতে বাড়ি যেতে হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজার স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কতিপয় গ্রাহককে ব্যাংক বন্ধ হলে সন্ধ্যার সময় টাকা দেন। অন্যান্য অফিসার ব্যাংকে এসে গেট বন্ধ করে বসে থাকেন। দু-একজন মাঝেমধ্যে বলেন, দুই থেকে তিন মাস পর আপনাদের সমস্যা মিটে যাবে। প্রতিদিন শত শত গ্রাহক ব্যাংকের গেটে টাকা নেওয়ার অপেক্ষায় থেকে খালি হাতে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যায়। ন্যাশনাল ব্যাংক গজারিয়া শাখার সহকারী ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, সকল প্রশ্নের উত্তর শাখা ম্যানেজার বলতে পারবেন। তিনি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম ফোন ধরেননি।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, গ্রাহকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।