পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এক শ্রমিকনেতাকে মারপিট করে ৬০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে সাতক্ষীরায় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি করেন শহরের রসুলপুরের নারিকেলতলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজনু সরদার।
মামলার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহম্মেদ, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরার অনলাইন নিউজ পোর্টাল সমাজের আলো ডটকমের সম্পাদক ইয়ারব হোসেন ও ঢাকার লালমাটিয়ার বাসিন্দা খোরশেদ আলম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আসামিরা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদীকে ভিটাছাড়া করাসহ খুন, জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু আহম্মেদের নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান, ইয়ারব হোসেন, খোরশেদ আলমসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে বাদীর বাড়িতে আসেন। তারা বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চান। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদীকে মারধর করে ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যান। তারা বাকি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার জন্য বাদীকে মাইক্রোবাসে তুলে দুই চোখ বেঁধে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরান। পরে তাকে মেডিকেল কলেজ থেকে ছয়ঘরিয়া মোড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে ফেলে রেখে চলে যান। অনুকূল পরিস্থিতি না থাকায় তখন মামলা করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি বাদীর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা সবাই ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট কলারোয়ার শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাক্ষী। পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেনকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।