শুধুমাত্র দাঁতের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য নয় দাঁতের ক্ষয় রোধ করার জন্য দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন। এজন্য পরিমিত মাত্রায় ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা ভালো। ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনিভাবে ধরে ওপর পাটির দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কমপক্ষে তিন মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। অনেকে সকালে ব্রাশ করেন এবং এই নিয়মকেই সঠিক মনে করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে দাঁত ব্রাশ করা সবচেয়ে জরুরি। কারণ খাওয়ার পরে ব্রাশ না করলে কার্বোহাইড্রেট দাঁতের মধ্যে আটকে যায়। ফলে দাঁত ক্ষয় হতে শুরু করে। এরপর মাড়ি ফুলে যায়, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ায় মুখ থেকে দুর্গন্ধ আসে এবং দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথার সমস্যা হয়। ভারতের জাবিস ডেন্টাল সলিউশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. লিবি সিং বলেন, ‘প্রাপ্ত বয়ষ্ক অধিকাংশ মানুষ ক্যাভিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন। দেখা যায় যে, সাধারণত দিনের বেলা কিছু খাওয়ার পর গার্গল করে বা পানি পান করা হয়। এতে দাঁতে আটকে থাকা খাবার অনেকাংশে বের হয়ে যায়। ফলে দাঁত ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা কমে। কিন্তু রাতে খাবার খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ না করলে খাবার বা শর্করা দাঁতে লেগে থাকে। ফলে জীবাণু বৃদ্ধি পায় এবং ক্যাভিটির সমস্যা দেখা দেয়।’
এই কনসালট্যান্ট আরও বলেন, ‘মানুষ সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁত ব্রাশ করে। কিন্তু খুব কম লোকেরই রাতে খাবারের পর ঘুমনোর আগে দাঁত ব্রাশ করে। সকালে দাঁত ব্রাশ করার থেকে রাতে দাঁত ব্রাশ করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আট থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত যদি দাঁতের মধ্যে কোনও খাবারের অংশ থাকে তাহলে দাঁত ক্ষয় হতে থাকে।’
মনে রাখা দরকার, দাঁত ব্রাশ করা শুধুমাত্র ময়লা দূর করার জন্য নয় বরং মাড়ির রক্ত সঞ্চালন যাতে ঠিক থাকে সেজন্য দাঁত ব্রাশ করা জরুরি। তিন মাস পর পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে। ব্রাশ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ব্রাশের আঘাতে যেন মুখগহ্বরের ভেতের ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সবসময় বৃত্তাকার গতিতে নরম ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করা ভালো।
সূত্র: নিউজ ১৮ অবলম্বনে