নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। এর আগে, গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আটক দুজন হলেন-হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২)।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘আমার স্বামী চট্টগ্রামের কাভার্ডভ্যান চালক। বাড়িতে আমি, আমার মেয়ে ও দেবর থাকি। আমাদের বাড়ির আশপাশে তেমন বাড়িঘর নেই। গত রোববার রাত ১১টার দিকে ছয় যুবক আমার বাড়িতে আসে। তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আমার দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর আমার মেয়ে ও আমাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।’
ওই নারী বলেন, ‘ঘটনাটির প্রথমে স্থানীয় সমাজপতিদের জানাই। কিন্তু তারা টালবাহানা করতে থাকে। বাধ্য হয়ে শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে আইনের আশ্রয় নিই।’
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় ৬ জনকে আসামি করে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।