ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মাধ্যমে গাড়ি বাড়িসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ময়মনসিংহ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুসন্ধান টিমের প্রধান দুদক উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদা তাকে আগামী ৩০ অক্টোবর কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ দিয়েছেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুদকের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর (জনসংযোগ) এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২২ অক্টোবর শরীফ আহমেদকে লেখা নোটিশে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। উক্ত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বক্তব্য শোনা ও গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ অববস্থায় আগামী ৩০ অক্টোবর দুপুর ১২টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়, ঢাকায় উপস্থিত হয়ে নোটিশকারীর কাছে বক্তব্য দিতে তাকে অনুরোধ করা হলো।নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে।
দুদক জানায়, ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মাধ্যমে গাড়ি বাড়িসহ বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন শরীফ আহমেদ। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে সম্পদ অর্জন করে বিদেশেও পাচার করেছেন। এমপি ও প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে শরীফ আহমেদের এমন দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। বিগত সময়ে দুর্নীতি করে আর কি কি করেছেন তার অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিতে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এজন্য কমিশনের উপ-পরিচালক নূরুল হুদাকে প্রধান করে এবং উপ-সহকারী পরিচালক (সদস্য) মনজুরুল ইসলাম মিন্টু ও মো. মিজানুর রহমান এর সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদকের এই টিম। তারা ইতোমধ্যে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর নানা অনিয়ম, দুর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ পেয়েছে। এসব অনিয়ম আরও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।তারই ধারাবাহিকতায় শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে ডাকা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শেষ করে তার বিরুদ্ধে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে শরীফ আহমেদ ও তার পরিবার পলাতক রয়েছেন।