চাঁদপুর শহরে কয়লাঘাটের ডাকাতিয়া নদীতে ‘এমভি সাদিয়া অনিক’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পদ্মা ওয়েল কোম্পানির জেটির অদূরে জাহাজটিতে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড এক ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আকলিমা জাহান বলেন, ঢাকায় যাকে রেফার্ড করা হয়েছে তার নাম মো. গোলাপ মিয়া (৫০)। তার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া, মো. রুবেল (৩৫), জিলানী (৩০), মাসুদ (৩০), গিয়াস উদ্দিন (২৯) ও মধু (৫৫) নামে আরো পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের এই হাসপতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ আলম জানান, আজ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে চাঁদপুর শহরে কয়লাঘাটে পদ্মা ওয়েল কোম্পানির জেটির অদূরে ডাকাতিয়া নদীতে এমভি সাদিয়া অনিক নামে একটি তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। এক ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে জাহাজটিতে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
পদ্মা অয়েলের চাঁদপুর ডিপোর ম্যানেজার মো. লোকমান বলেন, তেলবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে এসেছিল। এটি ডাকাতিয়া নদীর পদ্মা তেলের ডিপো-সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে। জাহাজটিতে ২ লাখ ৬৩ হাজার লিটার পেট্রোল ও ৫ লাখ ১৫ হাজার লিটার জিজেল ছিল। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে তেল খালাস করার সময় জাহাজের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা অয়েলের এই জাহাজে মোট ৯ জন কর্মী ছিলেন। বিকেলে আগুন লাগলে মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। পরে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সহায়তা করে।