পর্যাপ্ত পানি পান করার পরেও হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরেও পুষ্টির সমস্যায় ভুগতে পারেন। সেক্ষেত্রে কী খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, একই সঙ্গে কখন খাচ্ছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিবিদরা বলেন, ‘হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখার জন্য খাওয়ার পরপরই পানি পান করা উচিত নয়। এতে হজমে সহায়ক এনজাইমের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এবং হজম ঠিকভাবে হয় না। ফলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। খাবার গ্রহণের অন্তত ২৫ মিনিট পরে পানি পান করা উচিত। যাদের অ্যাসিসিডিটির সমস্যা আছে তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করতে পারেন। খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে ও ৩০ মিনিট পরে পানি পান করা সবচেয়ে ভালো।’
ভারতীয় পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, ‘সুস্থ থাকতে সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর খাবার গ্রহণ করা উচিত। একবারে ভারী খাবার না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প করে খেলে হজম ভাল হবে। এতে শরীরে মেদও জমবে না। অনেকে মনে করেন, বার বার খেলে মেদ জমবে। এটি সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। দিনে তিন বার ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ছয় বার অল্প অল্প করে খেলে তবেই শরীর ঠিক থাকবে।’
এই পুষ্টিবিদ আরও জানিয়েছেন, সকাল, দুপুর এবং রাত, এই তিনবেলার খাবার হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঝের সময়েও পেট একেবারে খালি রাখা উচিত না। বেশি ক্ষণ পেট খালি থাকলে গ্যাস-অম্বলের ভয় থাকে। হালকা খাবার কয়েক ঘণ্টা পর পর খেতে হবে। যেমন, সকালে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা ওট্স খেলে ‘মিড মর্নিং’-এ মৌসুমী ফল বা একমুঠো বাদাম খেতে পারেন। আবার দুপুরের খাওয়ার পর সেই রাতে খেলে চলবে না। তার মাঝে বিকেলে হালকা নাস্তা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, শরীরের বিপাক হারের বা হজম প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে কতক্ষণ পর পর খাওয়া জরুরি। সকালে কখন উঠছেন, শারীরিক পরিশ্রম কতটুকু করছেন, শরীরচর্চার অভ্যাস রয়েছে কি না, এই বিষয়গুলো খাওয়াদাওয়া এবং তার সময়ের ওপর নির্ভর করে। তবে সময় মেপে খাওয়া খুব জরুরি। প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে খাওয়ার সময় সেট করে নিতে পারেন।