টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন, অধিকাংশ বাবা মা সন্তানকে সুখী দেখতে চান। সুখী মানুষেরা অসুখী মানুষদের থেকে জীবনের নানা ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। তারা কাজে ও ভালোবাসায় বেশি সফল হয়। সুখী মানুষেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালো কাজ পায় এবং ভালো উপার্জন করে।– সুখী হওয়া একটি প্রবণতা। সুখী হওয়াটা চর্চা করতে হয়। শিশুবেলায় এই অভ্যাস গড়ে উঠলে সন্তানের জন্য ভালো। সুখ প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে হাসি। শিশুরা হাসির মাধ্যমে সুখের অনুভব প্রকাশ করে, সামাজিকতা শেখে এবং সম্পর্ক গড়ে তোলে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘সুখী হওয়ার জন্য চর্চা করতে হয়।’ বাবা-মায়েরা সন্তানদের সুখী হতে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। এজন্য যা যা করতে হবে।
শিশুদের ভাষায় তাদের সঙ্গে কথা বলুন: শিশু যে ভাঙা ভাঙা শব্দ ব্যবহার করে, যে টোনে কথা বলে সেই টোনে কথা বলুন। সে যে শব্দগুলো অধিক ব্যবহার করে সেই শব্দগুলো হাসতে হাসতে বলুন এতে আপনার শিশু আনন্দ পাবে। এবং হাসবে।
শিশুর দিকে তাকিয়ে হাসুন: শিশুর সামনে আপনিও হাসুন। শিশুরা হাসতে দেখলে হাসে।
লুকোচুরি খেলুন: শিশুর সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে পারেন। আপনাকে খুঁজে পেলে আপনিও আনন্দ প্রকাশ করুন। এতে শিশু আরও বেশি আনন্দিত হবে।
শিশুর চোখে চোখ রেখে কথা বলুন: শিশুরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে চোখে চোখ রেখে কথা বলা। হেসে হেসে শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখে চোখ রাখুন।
অঙ্গভঙ্গির সহযোগে কথা বলুন: যা বলছেন তা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করুন। এতে শিশুর যোগাযোগ ক্ষমতা বাড়বে। এবং এতে সে আনন্দিত হবে।
হাস্যকর মুখভঙ্গী করতে পারেন: শিশুরা শিশুসুলভ আচরণ পছন্দ করে। শিশুর সামনে হাস্যকর মুখভঙ্গী দেখান। সে আনন্দ পাবে এবং হাসবে।