মুন্সীগঞ্জে আলোচিত শিশু তকির হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আলমগীর এ রায় দেন। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রবিউল্লাহ, হান্নান মিয়া, আবুল হোসেন, ময়না মিয়া ও আনোয়ার হোসেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম পল্টু কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট সকালে মুন্সীগঞ্জ সদরের ফুলতলা এলাকায় ১০ বছরের শিশু তকিরকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা মুন্সীগঞ্জ শহরের মার্কেটে যান। বিকাল ৪টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে তকিরকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনার পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে অপহরণ মামলা করেন তকিরের মা ঝর্ণা বেগম।
এদিকে, ঘটনার তিন দিন পর ২ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে শিশু তকিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই হত্যায় জড়িত সন্দেহে ৩ নভেম্বর পাশের এলাকার চিহ্নিত চোর রবিউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে একে একে এই ঘটনায় জড়িত আরও চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তকির গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তাকে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেন রবিউল্লাহসহ অন্য আসামিরা।
দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর বিচার শেষে আসামিদের জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তিনজন আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি রবিউল্লাহ ও হান্নান মিয়া পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান, এ রায়ে তকির পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।