নেপালকে হারিয়ে সাফে আবারও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। চারদিকে খেলোয়াড় ও স্টাফদের উল্লাস, উচ্ছ্বাস। সেটার রেশ আরও বাড়িয়ে দিলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের রিতু পর্ণা চাকমা হন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। আর সেরা গোলরক্ষক হন বাংলাদেশের রুপনা চাকমা।
এরপর বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে যখন শিরোপা তুলে দেওয়া হয় তখন সেই উদযাপন চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। লাল-নীল কনফেত্তির উড়াউড়ি, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ আর আলোর ঝলকানিতে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় মাঠ জুড়ে।
এরপর চললো ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন। কিন্তু সেখানে খুঁজে পাওয়া গেল না বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ কোচ পিটার জেমস বাটলারকে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কোনো উদযাপনেই সামিল হননি তিনি।
কেন এমনটি করলেন তিনি? জানা গেছে অভিমানে এবং ক্ষোভে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে যাচ্ছেন। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে কোচ বলেছেন, ‘এই ট্রফি জয় মেয়েদের উপভোগ করতে দিন। আমার উদযাপনের দরকার নেই। এটা আমার শেষ ম্যাচ। মেয়েদের দায়িত্বে আমি আর থাকছি না। তবে বাফুফের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। মেয়েদের সঙ্গে এটাই আমার শেষ ম্যাচ ছিল।’
মূলত দ্বন্দ্বের শুরুটা হয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর। খেলোয়াড়দের অভিযোগ ছিল কোচ সিনিয়র খেলোয়াড়দের কম গুরুত্ব দেন। এরপর কোচ দাবি করেন সিনিয়র খেলোয়াড়রা দলের মধ্যে রাজনীতি করেন। তাদের শাস্তিও দাবি করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে অন্যরকম একটি পরিবেশ তৈরি হয় দলের মধ্যে। যদিও পরবর্তী ম্যাচগুলোতে সেটার প্রভাব পড়েনি এবং বাংলাদেশ তাদের শিরোপা অক্ষুন্ন রেখেছে। কিন্তু যার হাত ধরে আরও একটি শিরোপা পেল বাংলাদেশ, সেই কোচ সরে দাঁড়ালেন মেয়েদের দায়িত্ব থেকে।