নারী ফুটবল দলের বেতনের সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাফ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকটি পত্রিকায় নারী ফুটবল দলের দুই মাসের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। সেটি সালাউদ্দিনের আমলের সমস্যা। তাদের বেতনের সমস্যা দ্রুত সময়ে সমাধান করা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশনার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার খুঁজে বের করবেন। সমাজে যারা নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য আছে, যাদেরকে আমরা চিনি যে যারা পাবলিক সার্ভিসে কী পরিমাণ নিরপেক্ষ ছিলেন? নির্বাচন করার যে অভিজ্ঞতা আছে, তাদেরকে সার্চ কমিটি খুঁজে বের করবেন। কমিশন হলেই নির্বাচনের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যে কোনো ইস্যু হলে সেটা নিয়ে কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ আছে। কথা বলার মাধ্যমে আমরা একটা সুন্দর সুফল পাব। শিক্ষার্থীদের আজকের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। আমার মনে হয় আজকেই আন্দোলনের শেষ দিন।
যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রাফিক সমস্যা অবশ্যই জনজীবনের সাথে সম্পৃক্ত। এটা সমাধানের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রফেসর ইউনূস অভিজ্ঞদের সাথে কথা বলছেন। কেবিনেটে এই বিষয় নিয়ে আলাপ হচ্ছে। অন্যতম কারণ হচ্ছে যে, গত ১৫ বছর যে ধরনের কুশাসন ছিল। যার ফলে অনেক গ্রুপ, সেই গ্রুপগুলো গত ১৫ বছর আন্দোলন করতে পারেনি। এখন ওনারা ভাবছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সরকার। তাদের কথাগুলো এই সরকার শুনবে। আমরাও তাদের কথা শুনছি। অনেক ক্ষেত্রে তারা রাস্তায় আন্দোলন করছেন, এটা একটা বিষয়। কেবিনে এটা নিয়ে যথেষ্ট আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। সব বিষয়ে আমাদের মনোযোগ আছে। আমরা চেষ্টা করছি নাগরিকের দুর্ভোগ কীভাবে কমানো যায়। আমাদের চেষ্টার অন্ত নাই।
তিনবার বিসিএস থেকে চারবার দেওয়ার সুযোগ হয়েছে, এটা কেন করলেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ কেবিনেটে এটা নিয়ে ডিবেট হয়েছে। তারপরেই এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, চারবার বিসিএস দিতে পারবেন।
মিরপুরে শ্রমিক, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষে কোন ষড়যন্ত্র কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এসব বিষয়ে কোনো ষড়যন্ত্র দেখছি না। কয়েকটা ফ্যাক্টরির মালিক পালিয়ে গেছেন। অনেকে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছেন না। সেই ক্ষেত্রে শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। আমরা খুব শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।