বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব হত্যার হুকুমের আসামি হিসেবে শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবু তালেব মণ্ডল।
অধ্যাপক মাওলানা আবু তালেব মণ্ডল বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মানুষকে হত্যা, গুম ও আয়নাঘর তৈরি করেছেন। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালান না। অথচ লজ্জাজনকভাবে তিনি সব নেতাকর্মী ফেলে পালিয়ে গেছেন। এ সকল অপকর্মের সব দায়-দায়িত্ব শেখ হাসিনার। হাসিনাকেই এর জবাব দিতে হবে। আইনের আওতায় এনে তার বিচার হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে পাবনার সাঁথিয়ায় পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
উপজেলার দেবীপুর তেবাড়ীয়া কলেজ মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখা। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পৈশাচিক পল্টন হত্যা দিবস স্মরণে ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সামাবেশ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর আবু তালেব মন্ডল বলেন, ‘আন্তর্জতাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনাল গঠন করে আমাদের অনেক ভাইকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন। এত নির্যাতন করার পরও তিনি জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে ভেবেছিলেন জামায়াতে ইসলামী খতম হয়ে গেছে কিন্তু দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অনেক বেশি জনশক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। জামায়াতে ইসলামী আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত। জামায়াতে ইসলামীকে খতম করা যাবে না।’
তালেব মণ্ডল বলেন. ‘যারা পহেলা আগস্টে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেন। চারদিন পরই এদেশের জনগণের কাছ থেকে তারাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। তারা ধোঁয়া তোলে জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাসী-মৌলবাদী দল। সাম্প্রদায়িক দল বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। এবারও দূর্গাপূজায় মন্দির ভাঙা হবে বলে ধোঁয়া তুলেছিল। অথচ যত মন্দির ভাঙা, জমি দখল, চাঁদাবাজি সব আওয়ামীলীগ করেছে। জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মীও কারও বাড়ি ভাঙতে যায়নি, কারো বাড়িতে আগুন দেয়নি, মন্দির ভাঙতে যায়নি। জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রসাী দল নয়, সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ।’
ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আনিসুর রহমান, ছাত্রশিবির আতাইকুলা থানা শাখার সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুর, সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসাইন, সাবেক সভাপতি হায়দার আলী প্রমুখ।