ক্যাম্পাস

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পাবিপ্রবিতে ছাত্রদলের গণসংযোগ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের মাঝে গণসংযোগ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর আগে, গত ১৩ আগস্ট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে পাবিপ্রবি প্রশাসন।

রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠের পশ্চিমে মুক্তমঞ্চের পাশে এ গণসংযোগ করেন তারা। 

এতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান সুমিত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাইয়্যুমুল হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারহান আরিফ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘গৌরবোজ্জ্বল অতীত; সংগ্রামী বর্তমান ও আগামীর প্রতিশ্রুতি’ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ‘তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ সংবলিত দুটি ছোট বই বিলি করেন।

জানা গেছে, গণসংযোগের জন্য সকালে কেন্দ্রীয় নেতার আগমন উপলক্ষে প্রধান ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসলে তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এরপর কর্মীদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নেন। ঘণ্টাব্যাপী গণসংযোগ চলাকালে ছাত্রদল নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত শোনেন এবং ছাত্রদলের দলীয় কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।

এদিকে, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে ছাত্রদলের এমন কার্যক্রমে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ছাত্রদল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজনীতিমুক্ত একটি ক্যাম্পাসে এভাবে গণসংযোগ করা এবং দলের বই-পুস্তক বিতরণ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনভঙ্গের শামিল।’

পাবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, এটা সবাই জানে। ছাত্রদলের উচিত ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা। কিন্তু তারা সেটা না করে প্রকাশ্যে গণসংযোগ করেছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু নামেই রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। বাস্তবে আমরা কোনো প্রতিফলন দেখতে পাই না। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ হতাশাজনক।’

এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনকে মোবাইলে কল ও মেসেজ দিলেও তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি এ মুহূর্তে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। আমি বিষয়টা মাত্রই জানলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টিকে সমর্থন করে না। আমি ক্যাম্পাসে এসে বিষয়টার তদন্ত করবো এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত, আমরা খুঁজে বের করবো।’