বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট কোনটা? এই প্রশ্নের উত্তরে ওয়ানডেকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে। সাফল্যের হারের দিক থেকে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ যথেষ্ট সফল। দীর্ঘদিন পর আবারও সাদা বলের এই ফরম্যাটে মাঠে নামতে যাচ্ছে লাল-সবুজের দল। আফগানিস্তনের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি দিয়ে রঙিন পোশাকে মাঠে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে স্যাটেলাইট চ্যানেল টি-স্পোর্টস ও গাজী টেলিভিশন।
সিরিজ জয়ে চোখ রেখেই মাঠে নামছে শান্ত অ্যান্ড কোম্পানি। তবে অধিনায়ক শান্তর দৃষ্টি আরও দূরে। সামনেই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেই আসরকেই পাখির চোখ করে রেখেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেটাই জানালেন শান্ত।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্ত বলেছেন, ‘(চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে) আমাদের হাতে এখানে তিনটা ম্যাচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটা। ছয়টা ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছয়টা ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলবো। এখান থেকে ওই আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে যদি আমরা যেতে পারি, তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য সহজ হবে। আর কোন কম্বিনেশনে আমরা খেলতে চাই, ওই ধারণাটাও এই ম্যাচগুলো থেকে হয়ে যাবে।’
পরিসংখ্যানের দিক থেকে আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। একদিনের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৬ বার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়ে ১০টিতে জয় বাংলাদেশের, বাকি ছয়টিতে আফগানরা। পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও জেতার কাজটা মোটেই সহজ হবে না। তার ওপর দলের গুরুত্বপর্ণ দুই ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা এখনো দুবাইয়ের ভিসা পাননি।
তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই লড়াইয়ে নামতে চান দলপতি, ‘আমি বিশ্বাস করছি, এই সংস্করণে আমরা ভালো করবো। অতীতেও আমরা ভালো করেছি। অবশ্যই আফগানিস্তান এই কন্ডিশনে ভালো দল। তবে আমি যেটা মনে করি, আমাদের যে দলটা আছে, আমরা যদি শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, অবশ্যই তাদের বিপক্ষে ভালো খেলা সম্ভব।’
‘নাসুম এবং রানা চলে আসবে, এটা আমি এখনও বিশ্বাস করছি। ক্রিকেট বোর্ড ভালোভাবেই এই বিষয়টা টেক কেয়ার করছে। ম্যাচ শুরু হতে যেহেতু এখনও সময় আছে। তাই আমি আশা করছি। আরেকটু আগে আসতে পারলে তো অবশ্যই তো ভালো হতো। কিন্তু এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’- আরও যোগ করেন শান্ত।
প্রস্তুতি নিয়ে অধিনায়কের ভাষ্য, ‘প্রস্তুতি খুব ভালো। গত কয়েক দিন যেমন অনুশীলন হয়েছে, আমরা খুশি। সবাই নিজেদের খুব ভালোভাবে তৈরি করেছে। আপনি যে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথা বললেন, যারা এখানে নেই, তাদের নিয়ে আমরা চিন্তা করতে পারবো না। যারা এখানে আছে শুধু তাদের নিয়ে ভাবতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, পারফর্ম করার মতো ক্রিকেটার দলে আছে। দলের ১৫ জনই এখানে পারফর্ম করতে পারবে।’
ভারতের বিপক্ষে একেবারে গো-হারা হেরেছে বাংলাদেশ। অধিনায়কের ব্যাটও কথা বলেনি। তবে সেটা অতীতেই রাখতে চান শান্ত। সেই সঙ্গে নিজের ব্যাটিংয়ের দিকেও নজর তার, ‘যেটা শেষ হয়ে গেছে, শেষ। আমার মনে হয়, এটা নতুন একটা সিরিজ। চেষ্টা থাকবে, আমি প্রতিদিন কীভাবে অবদান রাখতে পারি। লক্ষ্য এটাই থাকবে, ম্যাচের পরিস্থিতিতে যেভাবে ব্যাটিং করা দরকার সেভাবে যদি করতে পারি তাহলেই আমি খুশি।’
সবশেষ প্রবাসী দর্শকদের দর্শকদের মাঠে এসে খেলা দেখার আহ্বান জানালেন শান্ত, ‘আমার মনে হয়, শুধু এখানে না, সব জায়গায় গেলেই (দর্শক) আমাদের সমর্থন দিতে আসে। এখানেও আমি আশা করবো, গ্যালারিজুড়ে আমাদের সমর্থক থাকবে। এটা অবশ্যই বাড়তি প্রেরণা জোগায়। মাঠে আসবেন খেলা দেখতে এবং বাংলাদেশ দলকে অনেক বেশি সাপোর্ট করবেন। এতটুকুই।’