নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের আবহ বদলে গেল ফরম্যাট বদলের সঙ্গে সঙ্গেই। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দাপট আরেকবার দেখালো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সঞ্জু স্যামসনের ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরির পর রবি বিষ্ণই ও ভারুন চক্রবর্তীর দারুণ বোলিংয়ে ৬১ রানের বড় জয় পেল সূর্যকুমার যাদবের দল।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে প্রথমে ব্যাট করে স্যামসনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২০ ওভারে ৮ উইকেয়ট হারিয়ে ২০২ রানের পুঁজি পায় ভারত। জবাব দিতে নেমে ভারতীয়দের স্পিনের জবাব দিতে না পেরে ১৩ বল আগেই ১৪১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
জয়ের নায়ক স্যামসন। ভারতের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে টানা দুটি সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি। একই সঙ্গে স্পর্শ করেন ভারতের হয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। তার ১০ ছক্কার সঙ্গে ও ৭টি চারে সাজানো ইনিংসটিতে বল খেলেছেন ৫০টি। করেছেন ১০৭ রান। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলেছিলেন ১১১ রানের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি ভারত। অভিষেক শর্মা আউট হয়ে যান ৮ বলে ৭ রান করে। তবে উইকেট পড়লেও স্যামসন ছিলেন নিজের স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ের মধ্যে। সূর্যকুমারকে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে তোলেন ৫৬ রান। ফিফটি তুলে নেন ২৭ বলে।
সূর্যকুমার ফেরেন ২১ রান করে। এরপর তিলক ভার্মাকে সঙ্গী করে স্যামসন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪৭ বলে। তিলক ফেরেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ বলে ৩৩ রান করে। এরপর ফিরে যান স্যামসনও। শেষ দিকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া, রিঙ্কু সিংরা। দলের সংগ্রহও তাই আরও বড় হয়নি।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার রায়ান রিকেলটন, এইডেন মার্করাম ও ত্রিস্টান স্টাবসকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। তবে কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। ক্লাসেন ২৫ ও মিলার ১৮ রান করেন।
এরপর আর দাঁড়াতে পারেননি কেউ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যান দেড়শর আগে। ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন বিষ্ণই ও ভারুন। আভেশ খানের শিকার ২ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ রোববার (১০ নভেম্বর)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ২০ ওভারে ২০২/৮ দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৭.৫ ওভারে ১৪১ ফল: ভারত ৬১ রানে জয়ী সিরিজ: ৪ ম্যাচের ১-০তে এগিয়ে ভারত ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাঞ্জু স্যামসন