বাগেরহাটে বিএনপি নেতা সজীব তরফদারকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যায় ভাড়াটে খুনিরা জড়িত। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবু বক্কর শিকদার (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পর শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ।
গতকাল শুক্রবার পিরোজপুর জেলার কাউখালী এলাকা থেকে আবু বক্কর শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরো পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
এদিকে, নিহত সজিবের স্ত্রী নাইমা ফারহানা বাদী হয়ে গতকাল রাতে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৮-১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনজির হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
গ্রেপ্তার আবু বক্কার শিকদার (৫৭) বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কাড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ বলেন, ‘ঘটনাস্থলের আলামত, সার্বিক পরিস্থিতি এবং প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা যা পেয়েছি তা হলো, কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেয় চারজন। এদের সবাই ভাড়াটে খুনি। তাদের মধ্যে আবু বক্কার শিকদারকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আবু বক্কর শিকদার জানিয়েছেন, তার ও তার এক সহযোগীর সঙ্গে ৩ লাখ টাকার চুক্তি ছিল। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া অন্য দুজনের সঙ্গে আবু বক্কার শিকদারের পরিচয় নেই এবং তাদের চুক্তির বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।’
তৌহিদুল আরিফ বলেন, ‘আমরা সব বিষয় খতিয়ে দেখছি। তার বক্তব্যও যাচাই করা হচ্ছে। হত্যার সম্ভাব্য পাঁচটি কারণ নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত শেষ না হলে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে না। আমরা আশা করছি, হত্যাকাণ্ডের পেছনের মাস্টারমাইন্ডসহ জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার বাগেরহাট-রামপাল আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সজিব তরফদারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে একদল মানুষ। নিহত সজিব তরফদার ডেমা গ্রামের মৃত সিদ্দিক তরফদারের ছেলে। তিনি ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।