খেলাধুলা

চেনা রূপে বাটলার, আরেকটি জয় ইংল্যান্ডের

জস বাটলার যেদিন নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেন, সেদিন খেলাটা যেন শুধু তিনিই খেলেন। আরেকবার একক হাতের কারিশমা দেখালেন ইংলিশ অধিনায়ক। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিলো ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

রোববার (১০ নভেম্বর) বার্বাডোজে প্রথমে ব্যাট করে লড়াকু সংগ্রহ করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাকিব মাহমুদের দারুণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলতে পারে। জবাব দিতে নেমে বাটলারের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের তোপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জোসরা আর্চার ও সাকিব মাহমুদ পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রথম চার ওভারেই তিন উইকেট আদায় করে নেন।

এরপর চতুর্থ উইকেটে লড়াই করার চেষ্টা করেন নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েল। দুজন মিলে গড়েন ৪৩ বলে ৩৫ রানের জুটি। এরপর আর তেমন কোনো বড় জুটি গড়তে পারেনি কেউ। পুরান ফিরে যান ২৩ বলে ১৪ রানের বেমানান ইনিংস খেলে।

পাওয়েলের রান ছিল এক সময় ২৮ বলে ১৮। পরে কিছুটা চালিয়ে খেলে শেষ পর্যন্ত দুটি করে চার ও ছক্কায় ৪১ বলে ৪৩ রান করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। শেষদিকে একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন শেফার্ড। ১২ বলে ২২ রান করেন তিনি।

রান তাড়ায় নেমে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন বাটলার। যদিও ইনিংসের শুরুতেই আকিল হোসেনের বল কাভারে তুলে দেন আগের দিন অপরাজিত সেঞ্চুরি করা সল্ট। এরপর ম্যাচ জয়ী জুটি গড়েন বাটলার ও উইল জ্যাকস। দুজন মিলে গড়েন ৭২ বলে ১২৯ রানের জুটি। সেখানে জ্যাকসের অবদান কেবল ২৯ বলে ৩৮।

বাটলার ফিফটি তুলে নেন ৩২ বলে। এরপর সেঞ্চুরির দিকে আগাতে থাকেন ইংলিশ দলপতি। তবে রোমারিও শেফার্ড ফের আক্রমণে ফিরে এক ওভারেই বিদায় করে দেন বাটলার ও জ্যাকসকে। ততক্ষণে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৫ বলে ৮৩ রান করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

বাকি কাজ অনায়াসেই সেরে ফেলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেফার্ডের টানা তিন বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ২৩ রান করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৫৮/৮ (পুরান ১৪, পাওয়েল ৪৩, শেফার্ড ২২) ইংল্যান্ড: ১৬.৫ ওভারে ১৮৩/২ (জ্যাকস ৩৮, বাটলার ৮৩, লিভিংস্টোন ২৩*) ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী। সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দুটি শেষে ইংল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জস বাটলার।