বৃষ্টি প্রথম ওয়ানডের মজা নষ্ট করেছিল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই পরিস্থিতি। ডাম্বুলার পর পাল্লেকেল্লে। দুটি বিষয় স্থির থাকল। এক, বৃষ্টি। দুই, শ্রীলঙ্কার জয়। আর শ্রীলঙ্কার জয় মানেই সিরিজ জয়।
ঘরের মাঠে টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল লঙ্কানরা। ২০১২ সালের পর প্রথম নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা। বৃষ্টি আইনে প্রথম ওয়ানডে ৪৫ রানে জিতেছিল। এবার রান তাড়ায় জিতল ৩ উইকেট।
আরেকটি বিষয়েরও পরিবর্তন হয়নি। ম্যাচ জয়ের নায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোববার ফিফটি করে নায়ক ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
পাল্লেকেল্লেতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিউ জিল্যান্ড ৪৫.১ ওভারে ২০৯ রানে গুটিয়ে যায়। ইনিংসের মাঝে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ায় ম্যাচ নেমে আসে ৪৭ ওভারে। জবাব দিতে নেমে ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
কুশল ১০২ বলে ৭৪ রান করেন ৬ বাউন্ডারিতে। দলের পরিস্থিতি বুঝে বেশ শান্ত মেজাজে ব্যাটিং করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন কুশল। তিনি বাদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন পাথুম নিশাঙ্কা। এছাড়া ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাহেশ থিকসানা। বিশের ঘর পেরিয়েছেন জানিথ লিয়াঙ্গে (২২)।
নিউ জিল্যান্ড স্বল্প পুঁজি নিয়ে চেষ্টা চালিয়েছিল। মিচেল ব্রেসওয়েল ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেনি কিউইরা।
এর আগে তাদের ব্যাটিংও তেমন যুৎসই হয়নি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন মার্ক চ্যাম্পমান। ৪৯ রান আসে মিচেল হে’র ব্যাট থেকে। নিউজিল্যান্ডের রান ২০০ পেরোনোর পেছনেও সবচেয়ে বড় ভূমিকা পঞ্চম উইকেটে চ্যাপম্যান-হের ৭৮ বলে ৭৫ রানের জুটিটার।
বোলিংয়ে লঙ্কানদের হয়ে থিকসানা ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন জেফরি ভেন্ডারসাইও। ২ উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো।
নিউ জিল্যান্ডের আগে শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। শেষ ম্যাচে তাদের বড় সুযোগ নিউ জিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার। মঙ্গলবারই ম্যাচটা পাল্লেকেল্লেতে অনুষ্ঠিত হবে।