সারা বাংলা

অফিসে ঢুকে ধমক দেওয়ায় থানায় অভিযোগ দিলেন পাসপোর্টের ডিডি

অফিসে ঢুকে ‘উচ্চস্বরে ধমক দেওয়া’ ও ‘বকাবকি’ করায় থানায় লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) রোজী খন্দকার। এতে তিনি জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে তিনি রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠান।

ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, ‘ডিডি রোজী খন্দকার একটা অভিযোগ পাঠিয়েছেন থানায়। আমি সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে কথা বলব। তারপর এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করব।’

এর আগে, আজ সকালে পাসপোর্ট অফিসের সামনে শালবাগান বাজারে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে বক্তারা অভিযোগ করেন, পাসপোর্ট অফিসে যেসব ফাইল দালালের মাধ্যমে আসে, সেগুলোর কাজ দ্রুত হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহান। বক্তারা ডিডি রোজী খন্দকারের অপসারণ দাবি করেন। ‘ভুক্তভোগী রাজশাহীর সাধারণ জনগণ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধন শেষে ‘ভুক্তভোগীরা’ ডিডির কার্যালয়ে যান। তাদের সঙ্গে সাংবাদিকেরাও ছিলেন। সেই সময়ের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

 থানায় দেওয়া অভিযোগে লেখা হয়, সকাল আনুমানিক ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আবু সাঈদ, জামাত খানসহ ৪০-৪৫ জন আকস্মিকভাবে ক্যামেরা চালু রেখে রোজী খন্দকারের কক্ষে প্রবেশ করেন। রোজী খন্দকার তাৎক্ষণিক পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ফোন করলে জামাত খান তাঁকে উচ্চস্বরে ধমক দেন এবং অকথ্য ভাষায় বকাবকি করেন। তার সঙ্গে থাকা অন্যরাও বিচ্ছিন্নভাবে নানারূপ ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলতে থাকেন।

অভিযোগে ডিডি রোজী খন্দকার লেখেন, “শান্ত হয়ে অনিয়মের প্রমাণাদি দাখিল করতে বলা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আমাকে এক মাসের আল্টিমেটাম দেন, অনিয়ম দূর করার জন্য। অফিসে আসা আবু সাঈদ মোয়াল্লেমের দায়িত্বে আছেন। সেই সুবাদে তিনি প্রায়ই হাজিদের নিয়ে অফিসে আসেন এবং সেবা নিয়ে যান। গত ১৮ নভেম্বরেও তিনি দুজন হাজি আবেদনকারীর সেবা নিয়ে যান। পরবর্তীতে জানা যায়, এই আবু সাঈদের উদ্যোগে মানববন্ধনসহ আমার কক্ষে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পেছনে মূখ্য ভূমিকা পালিত হয়।”

থানায় অভিযোগ করার ব্যাপারে কথা বলতে আজ সন্ধ্যায় ডিডি রোজী খন্দকারকে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। এর আগে দুপুরে তিনি নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।