পুঁজিবাজারের ৭৬ জন ব্যক্তি ও ১৫ প্রতিষ্ঠানের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩(১)(গ) ধারা অনুযায়ী মোট ৯১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১১৭টি বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে ওসব বিও অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি (নো ইউর কাস্টমার) ফরম এবং পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট আগামী তিন দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এসব তথ্য চেয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইনটেলিজেনস ইউনিট (বিএফআইইউ)। এরই ধারাবাহিকতায় ৯১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১১৭টি বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইনটেলিজেনস ইউনিটের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ১৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৭৬ জন ব্যক্তির নামে পরিচালিত কোনো বিও হিসাব পুঁজিবাজারে থাকলে তা স্থগিতকরণ প্রসঙ্গে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিএফআইইউ কর্তৃক প্রেরিত সংযুক্ত পত্রের চাহিদা অনুযায়ী উল্লেখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের কোনো বিও হিসাব থাকলে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ২০১২ এর ২৩(১)(গ) ধারা অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সংযুক্তপত্রের অনুরোধ অুনযায়ী বর্ণিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কেওয়াইসি, পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট তথ্য সংগ্রহ করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্য সিডিবিএল, ডিএসই পিএলসি ও সিএসই পিএলসিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
বিও অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত টাকা ও ক্রয়কৃত শেয়ার থাকে। এর মাধ্যমে তারা শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন। পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট গ্রাহকের আগ্রহ ও তাদের বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য থাকে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তেনের পর বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গত আগস্টের শেষের দিকে সালমান এফ রহমানের বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বিএসইসি। বিএফআইইউ সব ব্যাংককে তার মালিকানাধীন যেকোনো অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।