ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ও পথচারী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে সায়েন্সল্যাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করতে ধাওয়া দেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করতেও দেখা যায়।
ধাওয়া খেয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান নিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওপর চড়াও হন। এ সময় কলেজের ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
এদিকে, সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের বিকেল একে একে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার হয়। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে এখানে আনা হয়। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন— শাহরিয়ার, মোহাম্মদ নূর হোসেন, মোহাম্মদ তুষার, অনিম, মোহাম্মদ সেজান, রিফাত, মোহাম্মদ আরাফাত, নীরব, শরিফ, মোহাম্মদ ইয়াকুব, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, আল-ইমরান, তানভীর, সুজন, মো. আরিফ, মহিউদ্দিন, তারেক, তাহসিন, ফয়সাল, তরিকুল ইসলাম (রাজীব), মোহাম্মদ আলী, হাসান, ইসমাইল, ফাইয়াদ, মো. মাহির, সাকিন, তানভীর, তামিম, তাওফিকুর রহমান, আশিক, রাজ, মেহেদী, শিশির, মো. আশিকুল, তাওসিফ, তোহা, শিহাব ও তাসিল।
আহত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ইট-পাটকেল ও লাঠির আঘাত লেগেছে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যালে এ পর্যন্ত ৩৭ জনকে আনা হয়েছে। তাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’