ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামী ২২ নভেম্বর। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের সঙ্গে থাকছে নতুন চমক; গবেষণাকর্ম প্রদর্শনে বিশেষ নজর দিয়েছে প্রশাসন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথমবারের মতো শিক্ষা ও গবেষণাকর্ম প্রদর্শন করবে বিভিন্ন বিভাগগুলো। এতে ক্যাম্পাসের অনুষদ ভবন সংলগ্ন আমবাগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আলাদা স্টল। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছুটির দিন হওয়ায় ও উপাচার্য দেশে না থাকায় দিবসটি পিছিয়ে মূল কর্মসূচি ২৫ নভেম্বর পালন করা হবে। ওই দিন সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হবে। পায়রা, বেলুন উড্ডয়ন ও কেক-কেটে দিবসটির উদ্বোধন করা হবে।
পরে পর্যায়ক্রমে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী উদ্বোধন, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর চেতনাকে আলোকপাত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ওপর স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী আলোকসজ্জা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে জুলাই-আগস্ট এর চেতনা ধারণ করে আলপনা আঁকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হবে।
ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ডিজিজ ও এর নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, খাবার বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি, পুষ্টিহীনতা দূর করতে আমাদের বিভিন্ন গবেষণাকর্ম রয়েছে। আমরা এ গবেষণাগুলো প্রদর্শন করবো যা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম আয়োজনের মাধ্যমে বিভাগকে তুলে ধরার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।'’