প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পেরিয়ে ৪৬-এ পা রাখতে নানা বর্ণিল সাজে সেজেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ চত্বর আলপনায় রঙিন হয়ে উঠছে একদল শিক্ষার্থীর হাত ধরে। লাল-নীল রঙিন আলোয় সাজানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক, হল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ইবির মেইন গেট, প্রশাসন ভবন, ভিসি বাংলো, ভিত্তিপ্রস্তর, ডায়না চত্বর, হল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জা করা হবে। এর অংশ হিসেবে আলোকিত করা হয়েছে প্রধান ফটক, শহীদ জিয়াউর রহমান ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। অন্যান্য স্থাপনাসমূহও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে। এদিকে ক্যাম্পাসের সড়কসমূহে জুলাই-আগস্ট’২০২৪-এর চেতনা ধারণ করে আলপনা অঙ্কন ও রঙিন পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণাকর্ম প্রদর্শনী, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ থাকবে নানা আয়োজন। দিবসটি উপলক্ষে ২২ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম’আ প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছুটির দিন হওয়ায় ও উপাচার্য না থাকায় দিবসটি পিছিয়ে মূল কর্মসূচি ২৫ নভেম্বর (সোমবার) পালন করা হবে।
ওইদিন সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হবে। শান্তির প্রতীক পায়রা, বেলুন উড্ডয়ন ও কেক-কেটে দিবসটির উদ্বোধন করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিভাগগুলো কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী উদ্বোধন, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর চেতনাকে আলোকপাত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উপর স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তানিম আহমেদ বলেন, “প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সেজেছে ঠিক যেন কায়ামানবী রূপে। তবে এবারের সাজ-গোজটা একটু বেশিই সুন্দর। এই শুভলগ্নের আমেজ ছড়িয়ে পড়ুক ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রান্তে সেই প্রত্যাশা।”
আরেক নবীন শিক্ষার্থী জিসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথম এমন বর্ণিল সাজ পেয়ে মুগ্ধ হচ্ছি। আমার মতো নবীনদের জন্য এটা সৌভাগ্যের বিষয়।”
আরো পড়ুন : ইবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: এবার গবেষণা প্রদর্শনে বিশেষ নজর