:: সংক্ষিপ্ত স্কোর :: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫০/৯ (১৪৪.১ ওভার)
বাংলাদেশ: ৪০/২ (২০ ওভার)
৪১০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। শাহাদাত ১০ ও মুমিনুল ৭ রানে অপরাজিত আছেন। ১ রানের ব্যবধানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর শাহাদাত-মুমিনুল জুটির পথচলা শুরু হয়। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দুজন যোগ করেন ১৯ রান। উইন্ডিজের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আলঝারি জোসেফ-সিলস। বাংলাদেশের আক্ষেপ হয়ে থাকবে পরপর দুই ওপেনারকে হারানো। এর আগে চা বিরতির একটু পরেই ইনিংস ঘোষণা করে উইন্ডিজ।
জয়—পাঁচ রানে জীবন, পাঁচ রানেই আউট
আলঝারিকে খোঁচা দিয়েছিলেন পাঁচ রানে। ক্যাচ ফেলে দেন লুইস। সেই আলঝারির বলেই খোঁচা দিয়ে ফিরলেন জয়। রান সেই পাঁচেই আটকে ছিল। শর্ট অব লেন্থের বলে খোঁচা দেন এই ডানহাতি ব্যাটার। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন আথানাজে। ৩৩ বলে ৫ রান করেন এই ওপেনার। ১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরলেন দুই ওপেনার। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার মুমিনুল-শাহাদাত।
ওভারে দুই চার মেরে আউট জাকির
সিলসের করা দশম ওভারের দ্বিতীয় বল। ওয়াইড গালি অঞ্চল দিয়ে জাকির বল পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারির বাইরে। এক বল ডট দিয়ে আবার চার। এবার বাউন্স পেয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বল পাঠান বাউন্ডারির বাইরে। এক বল ডট দিয়ে এবার আউট। শর্ট অব লেন্থের বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একটু দেরি হয়ে গেছে ততক্ষণে। বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। ১৫ রানে ফিরলেন জাকির। ক্রিজে জয়ের সঙ্গী মুমিনুল হক।
৫ রানে জীবন পেলেন জয়
সাড়ে চারশ রানের জবাবে প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে সতর্ক শুরু করেছেন জয়-জাকির। দুজনে খেলছিলেন দেখেশুনে। নবম ওভারে এসে জীবন পান জয়। আলঝারি জোসেফকে খোঁচা দেন, তবে গালিতে দাঁড়ানো লুইস সেটি তালুবন্দি করতে পারেননি। হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। ৫ রানে জীবন পান এই ডানহাতি ব্যাটার।
সাড়ে চারশ রান করে উইন্ডিজের ইনিংস ঘোষণা
৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অলাউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাস্টিন। ৯৭ রান করেন লুইস ও ৯০ রান করেন আথানাজে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন-মিরাজ।
উইকেটের দেখা পেলেন মিরাজ, আর বাকি একটি
১৪৩ ওভারের প্রথম বলেই মিরাজকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সিলস। দ্বিতীয় বলও মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার টাইমিং ঠিকমতো হয়নি। মিড অনে পেছনে যেয়ে দারুণ ক্যাচ নেন হাসান। ২৫ বলে ১৮ রান করেন সিলস। ৪৩৮ রানে নবম উইকেট হারালো উইন্ডিজ। ক্রিজে এখনো আছেন সেঞ্চুরিয়ান জাস্টিন। নতুন সঙ্গী জোসেপ। দ্বিতীয় দিন মিরাজের এটি প্রথম উইকেট।
চা বিরতিতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ
এবার চা বিরতিতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। জাস্টিন-রোচের অনবদ্য এক জুটিতে রানের পাহাড় গড়ে উইন্ডিজ। রোচ চা বিরতির আগে ফিরলেও জাস্টিন সেঞ্চুরি করে এখনো অপরাজিত আছেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রান। সঙ্গী সিলস অপরাজিত আছেন ১ রানে। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ নিতে পারে মাত্র ১টি উইকেট। দ্বিতীয় দিন তিন উইকেটই নেন হাসান। আর কোনো বোলার উইকেটের দেখা পাননি। দ্বিতীয় সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান করে উইন্ডিজ।
সিঙ্গেল-ডাবলসে ভর করে জাস্টিনের দারুণ সেঞ্চুরি
ওয়াইড মিড অফে তাইজুলকে দারুণ এক শটে চার মেরে প্রথম শতকের দেখা পান জাস্টিন। ১৮১ বলে বলে তিনি সেঞ্চুরিটি হাঁকান। সিঙ্গেল-ডাবলসে মনোযোগী জাস্টিনের সেঞ্চুরিতে চারের মার ছিল মাত্র ৪টি! দিনের শুরুতে দুই উইকেটের পতনের পর রোচকে নিয়ে এগোতে থাকেন দুজনে ১৪০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। ৪৭ রানে রোচের আউটে ভােঙ এই জুটি। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান হাসান।
১৪৪ বল খেলে আউট হলেন রোচ!
দিনের তৃতীয় ওভারে আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান রোচ। এরপর যা করেছেন তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। শূন্য রানে জীবন পাওয়া এই বোলার আউট হয়েছেন ৪৭ রান করে। বল খেলেন ১৪৪টি। জাস্টিনকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে অষ্টম উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ১৪০ রান! শেষ পর্যন্ত হাসান তাকে বোল্ড করে ফেরান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের চারশ
বাংলাদেশের বোলারদের নির্বিষ বানিয়ে চারশ রান তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অষ্টম উইকেটের জুটিতে ১২৪ রান যোগ করেন জাস্টিন-রোচ। তাদের অনবদ্য এই জুটির কল্যাণে দিনের শুরুতে ২ উইকেট হারিয়েও বড় সংগ্রহের পথে কোনো সমস্যা হয়নি।
৭ মিনিট পর আবার খেলা শুরু
বৃষ্টিতে ৭ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়েছে। সাবলীল ব্যাটিং করে যাচ্ছেন জাস্টিন-রোচ। সেঞ্চুরির পথে আছেন জাস্টিন। উইকেটের খোঁজে মরিয়া বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগায় বৃষ্টির হানায় বন্ধ খেলা
অ্যান্টিগায় হঠাৎ বৃষ্টিতে বন্ধ রয়েছে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা। বৃষ্টিতে বন্ধের আগ পর্যন্ত উইন্ডিজের রান ৭ উইকেটে ৩৭১। জাস্টিন ৮৪ ও রোচ ৩১ রানে ব্যাট করছেন।
উইকেটের খোঁজে মরিয়া বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বোলাররা যেন যোখে ষর্ষে ফুল দেখছেন। জাস্টিনের সঙ্গে বোলার রোচ বাড়াচ্ছেন ভোগান্তি। প্রথম সেশন কাটিয়ে দ্বিতীয় সেশনেও খেলছেন সাবলীল। দুজনের অষ্টম উইকেটের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে উইন্ডিজ পেরিয়েছে সাড়ে তিনশ রান। ১৯৭ বলে হয়েছে জুটির সেঞ্চুরি। জাস্টিন ৭৮ ও রোচ ২৬ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট করছেন।
মধ্যাহ্ন বিরতিতে দিশেহারা বাংলাদেশ
মধ্যাহ্ন বিরতিতে উইকেটের খোঁজে দিশেহারা বাংলাদেশ। জুটি গড়ে ছড়ি ঘুরাচ্ছেন জাস্টিন-রোচ। দুজনের অষ্টম উইকেটে ৭৫ রানের জুটিতে তিনশ পেরিয়ে সাড়ে তিনশর পথে স্বাগতিক শিবির। অথচ দিনের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। হাসান টানা দুই ওভারে নিয়েছেন ২ উইকেট। কিন্তু এরপরই জাস্টিন-রোচ এগোতে থাকেন। বাংলাদেশের বোলারদের নির্বিষ বানিয়ে যোগ করতে থাকেন রান। দিনের প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান করে উইন্ডিজ। হাসান ছাড়া দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের কোনো বোলার সাফল্য পায়নি।
জাস্টিন-রোচের প্রতিরোধে উইন্ডিজের ৩০০
দিনের শুরুতে টানা দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন হাসান। রোচও বেঁচে যান আম্পায়ার্স কলে। এরপর শুরু হয় জাস্টিন-রোচের প্রতিরোধ। দুজনে অষ্টম উইকেটের জুটিতে উইন্ডিজের পুঁজি ৩০০ পার করেন। দুজনের জুটি ইতিমধ্যা ফিফটি ছুঁয়েছে। ১০২ বলে ৫০ রান আসে এই জুটিতে। জাস্টিন ৪৫ ও রোচ ১৪ রানে ব্যাট করছেন।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন রোচ, উইকেট বঞ্চিত হাসান
৮৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরান আলঝারি জোসেফকে। শেষ বলে তৈরি হয় উইকেটের সুযোগ। হাসানের লেন্থ ডেলিভারি রোচের ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান রোচ।
হাসানের রেকর্ড
টেস্টে ২০২৪ সালে হাসান মাহমুদ এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ২৫ উইকেট। নির্দিষ্ট এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশ পেসারদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ উইকেটের নতুন রেকর্ড। হাসান ভেঙেছেন ২০০৮ সালের শাহাদাৎ হোসেন রাজিবের রেকর্ড। ১৬ বছর আগে শাহাদাৎ ৯ টেস্টে নিয়েছিলেন ২৩ উইকেট।
হাসানের দুই উইকেটে বাংলাদেশের দিন শুরু
অফে লেন্থ বল ছুঁড়েন হাসান। অন সাইডে খেলার চেষ্টা করেন আলঝারি জোসেফ। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড়। বল চলে যায় গালির দিকে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন জাকির হাসান। মাত্র ৩ বলে ৪ রান করে ফেরেন আলঝারি। ৮ রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিক শিবির। হাসান টানা দুই ওভারে নেন ২ উইকেট। ক্রিজে জাস্টিনের সঙ্গী কেমার রোচ।
প্রথম ওভারেই হাসানের উইকেট
দিনের পঞ্চম বলে হাসানের উইকেট। লেন্থ ডেলিভারিতে পরাস্ত হন জশুয়া ডি সিলভা। ফ্লিক করতে গিয়ে বল মিস করেন। পায়ে লাগলে জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু লাভ হয়নি। ২৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ২৫৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা। ক্রিজে জাস্টিনের সঙ্গী নতুন ব্যাটার আলঝারি জোসেফ।
এগিয়ে উইন্ডিজের দ্বিতীয় দিন শুরু
এগিয়ে থেকে অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিন (শনিবার) শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাতে ৫ উইকেট ও স্কোরবোর্ডে ২৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করে স্বাগতিক শিবির। জশুয়া ১৪ ও জাস্টিন ১১ রানে দিন শুরু করেন। বাংলাদেশ আছে উইকেটের খোঁজে।
শেষ সেশন ওয়েস্ট ইন্ডিজের
প্রথম দিন সকাল ও দুপুরের সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান যথাক্রমে ৫০ ও ৬৬। বিকেলের সেশনে ১৩৪। পুরো দিনের বর্ণনা করতে কী এতোটুকুই যথেষ্ট নয়? ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনের দুই সেশনে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু দারুণ ‘কামব্যাকে’ শেষ সেশনটি নিজেদের করে নেয় তারা। লুইস ও আথানাজের দারুণ ফিফটিতে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করে তারা। এই সেশনে বাংলাদেশ ২ উইকেট তুলে দুজনকেই সেঞ্চুরি বঞ্চিত করে। কিন্তু ৪.৪৭ রান রেটে রান তুলে শেষ বিকেলটা রঙিন করে স্বাগতিকরা। ৫ উইকেটে ২৫০ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। দুই দল প্রথম দিনটি ভাগাভাগি করেছে। জাস্টিন গ্রেভস ১১ ও জশুয়া ডি সিলভা ১৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।