খেলাধুলা

তাসকিন-শরিফুলে তৃতীয় দিনের ইতি

:: সংক্ষিপ্ত স্কোর :: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫০/৯ (১৪৪.১ ওভার)

বাংলাদেশ: ২৬৯/৯ (৯৮ ওভার) 

অলআউট ছিল সময়ের ব্যাপার। তাসকিন-শরিফুল সেটি হতে দেননি। দুজনে ১২ রানের জুটি গড়ে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচান তৃতীয় দিনে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৬৯। এখনো ১৮১ রানে পিছিয়ে লাল সবুজের দল। তাসকিন ১১ ও শরিফুল ৫ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে ৪০ রানে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন জাকের। ৫০ রান আসে মুমিনুলের ব্যাট থেকে। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আলঝারি জোসেফ। 

ফিরলেন হাসান 

জাস্টিনের বলে খোঁচা দেন হাসান। নিচু হয়ে বল যায় দ্বিতীয় স্লিপে, আথানাজের হাতে। খুব নিচুতে হওয়ায় তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিতে হয়। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বল মাটি স্পর্শের আগেই তালুবন্দি হয়। হাসান ফেরেন ৮ রানে। বাংলাদেশ হারায় নবম উইকেট। ক্রিজে তাসকিনের সঙ্গী শরিফুল। 

ফিফটির পর জাকের আলীর বিদায়

অপর প্রান্তে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার না থাকায় দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন জাকের। ফিফটির পর ছয় হাঁকাতে গিয়ে বাড়ান বিপদ। জাস্টিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মিড অনে। দারুণ ক্যাচ নেন সিলস। ৮৯ বলে ৫৩ রান করেন জাকের। তার আউটের পরই ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে লড়ছেন হাসান-তাসকিন।

চার মেরে জাকের আলীর দারুণ ফিফটি

সামার জোসেফের শর্ট বলে পুল করতে চেয়েছিলেন জাকের। ঠিকঠাক টাইমিং না হলেও টপ এজ হয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। জাকের পৌছান ফিফটিতে। ৮৫ বলের ইনিংসে চারের মার ছিল চারটি। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। অভিষেক টেস্টে ফিফটির পর দ্বিতীয় ম্যাচেও বিপদের মুহুর্তে ফেলেন ফিফটির দেখা। 

বোল্ড তাইজুল 

মিরাজ আউটের পর ক্রিজে আসেন। বোলার হয়েও খেলছিলেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের মতো। জাকের আলীর সঙ্গে ফিফটির জুটি গড়ে সামলান ধাক্কা। তাইজুলের সময়োপযোগী দারুণ এই ইনিংসের ইতি ঘটান আলঝারি জোসেফ। ব্যাক অব লেন্থের বল নিচু হয়ে তাইজুলের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে উইকেটে। ২৫ রানে থামলেন তাইজুল। ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। ক্রিজে জাকের সঙ্গী হাসান। 

ফিফটির জুটি পেরিয়ে এগোচ্ছেন জাকের-তাইজুল

ফিফটির জুটি পেরিয়ে এগোচ্ছেন জাকের-তাইজুল। দুজনের সপ্তম উইকেটের জুটি পঞ্চাশ ছোঁয় ৮৬ বলে। দুজনে কিছুটা হাতখুলে খেলার চেষ্টা করছেন কিছুটা। মিরাজের আউটের পর ক্রিজে আসেন তাইজুল। ফলোঅনের শংকা দেখা দিলেও দুজনের দৃড়তায় সেটা আপাতত কেটে গেছে।  

জাকের আলীর চারে বাংলাদেশের দুইশ 

রোচকে চার মেরে বাংলাদেশের স্কোর দুইশর ঘরে নেন জাকের আলী। আউটসাইড অফের বলে খোঁচা দেন, তৃতীয়-চতুর্থ স্লিপের মাঝে দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। বাংলাদেশ ৮১ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৩ রান করে। ক্রিজে জাকের আলীর সঙ্গে তাইজুল। জাকের তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ৩৭ রান। 

চা বিরতি থেকে ফিরেই সাজঘরে মিরাজ

চা বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফিরলেন মিরাজ। আলঝারি জোসেফের শর্ট বলে পরাস্ত হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটেনি। ব্যাটে লেগে বল যায় লুইসের হাতে। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। তার আউটের পর বিপদে বাংলাদেশ। জাকের আলীর সঙ্গী হলেন বোলার তাইজুল। তৃতীয় ও শেষ সেশন মাত্র শুরু। বাংলাদেশ কি পারবে এই সেশন কাটাতে? 

চাপে থেকে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। কিন্তু মুমিনুলের পর দ্বিতীয় সেশনে লিটনকেও হারিয়ে ভীষণ চাপে বাংলাদেশ। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬৫ রান। এখনো পিছিয়ে আছে ২৮৫ রানে। মিরাজ ২২ ও জাকের আলী ৫ রানে অপরাজিত আছেন। এই দুজনের পর আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটার নেই। দ্বিতীয় সেশনে উইন্ডিজের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সিলস-সামার জোসেফ। 

বড় ইনিংসের সম্ভাবনা দেখিয়ে বোল্ড লিটন

সামার জোসেফের শর্ট অব লেন্থে পরাস্ত লিটন। অ্যাক্রস দ্য লাইন ব্যাট চালিয়েছেন, টাইমিংয়ে গড়বড়। বল ব্যাটে লেগে ভেঙে দেয় উইকেট। ৪০ রানে থামে লিটনের যাত্রা। অথচ মিরাজের সঙ্গে তাকে দেখাচ্ছিল খুব সাবলীল। খেলছিলেন সহজাত সব শট। কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার। আরও একবার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। তার আউটে ভাঙে ১৭ রানের জুটি। সঙ্গে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে মিরাজের সঙ্গী হলেন জাকের আলী। 

ফিফটির পরেই সাজঘরে মুমিনুল, সঙ্গে হারালো রিভিউ

আলঝারি জোসেফের ব্যাক অব লেন্থের বল স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে ১ রান নেন মুমিনুল। তাতে ১১৫ বলে দেখা পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটির। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৩টি। লিটনের সঙ্গে জুটির হাফসেঞ্চুরি হয়েছে আগেই। ফিফটির পরেই মুমিনুল ফেরেন সাজঘরে। সিলসকে ফ্লিক করতে গিয়ে বল মিস করেন। পায়ে লাগলে জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অপর প্রান্ত থেকে লিটন সংকেত দেন রিভিউর, মুমিনুল রিভিউ নেন, কিন্তু লাভ হয়নি। বাংলাদেশ উলটো রিভিউ হারায়। শাহাদাতের আউটের পর দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। মুমিনুলের আউটে ভেঙে যায় ৬২ রানের জুটি। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ৩২২ রানে। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী মিরাজ।  

মুমিনুল-লিটনের প্রতিরোধের পর মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ

আউট সাইড অফে লুজ বল ছেড়েছিলেন সামার জোসেফ। এমন বল পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেননি লিটন। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে দারুণ শটে বল পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারির বাইরে। তিন অঙ্কের ঘর পার করে বাংলাদেশের স্কোর। শাহাদাত ফেরার পর মুমিনুলকে সঙ্গ দেন লিটন। দুজনে প্রতিরোধ গড়ে ধাক্কা সামাল দেন মাধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ৩৪৫ রানে। মুমিনুল ৩৮ ও লিটন ২১ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান করে। উইন্ডিজের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন রোচ। 

দারুণ শুরুর পর খোঁচা দিয়ে ফিরলেন শাহাদাত

শুরু থেকে খেলছিলেন সাবলীল। আর কয়েক মিনিট গেলেই পার হয়ে যেতো দিনের প্রথম ঘণ্টা। কিন্তু শাহাদাত টিকে থাকতে পারলেন না। রোচের আউটসাইড অফের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে খোঁচা দিয়ে বসেন। দ্বিতীয় স্লিপে জায়গায় দাঁড়িয়ে সহজেই ক্যাচ নেন হজ। ৭১ বলে ১৮ রান করেন শাহাদাত। তার আউটে ভাঙে ৪৫ মিনিটের জুটি। ক্রিজে মুমিনুলের নতুন সঙ্গী লিটন দাস।

মুমিনুল-শাহদাতে দিনের শুরুতে দারুণ বাংলাদেশ

দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ১ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর মুমিনুল-শাহাদাতের পথচলা শুরু হয়। দৃড়তা দেখিয়ে দ্বিতীয় দিন দুজনের কেউ উইকেট বিলিয়ে দেননি। তবে আসল লড়াই ছিল তৃতীয় দিন সকালে দ্রুত উইকেট না দেওয়া। এই কাজটা দারুণভাবে করছেন দুজনে। এখন পর্যন্ত সাবলীল দেখা যাচ্ছে দুই ব্যাটারকে। দুজনের জুটিও ফিফটির পথে।

চারশর বেশি রানের বোঝা নিয়ে বাংলাদেশের দিন শুরু

অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিন (রোববার)  মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লাল সবুজের দলের সামনে এখন ব্যাটিং দৃড়তা দেখার পালা। মাথায় চারশর বেশি রানের বোঝা। অপরাজিত থেকে দিন শুরু করা মুমিনুলকে দিতে হবে অভিজ্ঞতার পরিচয়। সঙ্গে আছেন শাহাদাত। 

দুই উইকেটের আক্ষেপ নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ 

৪১০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। শাহাদাত ১০ ও মুমিনুল ৭ রানে অপরাজিত আছেন। ১ রানের ব্যবধানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর শাহাদাত-মুমিনুল জুটির পথচলা শুরু হয়। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দুজন যোগ করেন ১৯ রান। উইন্ডিজের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আলঝারি জোসেফ-সিলস। বাংলাদেশের আক্ষেপ হয়ে থাকবে পরপর দুই ওপেনারকে হারানো। এর আগে চা বিরতির একটু পরেই ইনিংস ঘোষণা করে উইন্ডিজ। 

সাড়ে চারশ রান করে উইন্ডিজের ইনিংস ঘোষণা 

৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অলাউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাস্টিন। ৯৭ রান করেন লুইস ও ৯০ রান করেন আথানাজে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন-মিরাজ।