বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বগুড়ার রিপন ফকিরের (৫০) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদিঘি ফকিরপাড়া এলাকার কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, “আদালতের নির্দেশে রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথভাবে মরদেহটি আবারো দাফন করা হবে।”
রিপন ফকির গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। বগুড়া শহরের ২ নং রেল ঘুমটি ঝাউতলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাবিয়া বেগম গত ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ৩০০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়।
রিপন ফকির নিহত হওয়ার তিন মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফের সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম, জাহিদ হাসানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ার কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “রিপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য গত ২৮ অক্টোবর বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে আবেদন করেন। গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আবেদন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা।”
তিনি আরো বলেন, “মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়াকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথভাবে পুনরায় দাফন করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।”