সারা বাংলা

টাঙ্গাইলে খামারির ৫ গরুর মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে এআই টেকনিশিয়ানের (কৃত্রিম প্রজনন) প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পাছ বেথইর গ্রামের এম এ সামাদ মোল্লা। পরবর্তী তিনি পশু চিকিৎসক সেজে বিভিন্ন এলাকায় খামারিদের গরুর চিকিৎসা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের কালিহাতী্ উপজেলার চিনামুড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের খামারে ৭টি গরুর ক্ষুরা রোগ হয়। গত ২৪ অক্টোবর আনোয়ার হোসেন এম এ সামাদ মোল্লাকে ডাকেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার পর ৩০ অক্টোবর একসঙ্গে চারটি ও পরে আরেকটি গরু মারা যায়। পরে কালিহাতী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইম আল সালাউদ্দিনকে অবগত করলে তিনি ১ নভেম্বর আনোয়ারের খামার পরিদর্শন করেন। এতে আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, তার প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৭ নভেম্বর আনোয়ার হোসেন জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও র‌্যাব ১২ অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘আমি কৃষি কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাই। ২০ বছর আগে খুব কষ্টে গরুর খামার করেছিলাম। সেখানে সাতটি গরু ছিল। ভুল চিকিৎসায় পাঁচটি মারা গেছে। আমি ক্ষতি পূরণ দাবি করছি।’’

অভিযুক্ত এম এ সামাদ মোল্লা বলেন, ‘‘আমি গরুর ডাক্তার।’’ তবে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর বিষয়টি অস্বীকার করেন।

কালিহাতী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইম আল সালাউদ্দিন বলেন, সামাদ গরুর কৃত্রিম প্রজননের জন্য এআই টেকনিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি পশুর চিকিৎসা করতে পারেন না। তিনি গুরুতর অপরাধ করেছেন। এক খামারের ৭টি গরুর মধ্যে ৫টি মেরে খামারিকে নিঃস্ব করেছেন।