জাতীয় ক্রিকেট লিগের সপ্তম রাউন্ডের প্রথম দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাজশাহী বিভাগের ওপেনার সাব্বির হোসেন। তার সেঞ্চুরির দিনে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন সিলেট বিভাগের পেসার সফর আলী।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই দলের খেলায় প্রথম দিন ১২ উইকেট পড়েছে। রাজশাহী সাব্বিরের সেঞ্চুরির পরও গুটিয়ে যায় ২২৬ রানে। জবাব দিতে নেমে সিলেট ২ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তুলে দিন শেষ করেছে। সাব্বির দলের হয়ে একা ১১৬ রান করেন। ১৩৭ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় সাজিয়েছেন ইনিংসটি।
এছাড়া আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমান ৫৭ রান করেন। ১০৯ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ২২৬ রানে যেতেই অলআউট হয় রাজশাহী। সফর আলী বাদে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন আরেক পেসার তোফায়েল আহমেদ। ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। অমিত হাসান ১১ ও পিনাক ঘোষ ১৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল ২৮৯ রানে গুটিয়ে গেছে। বল হাতে ঢাকার আক্রমণে সবাই রেখেছেন অবদান। ২টি করে উইকেট নেন তিন পেসার সালাউদ্দিন শাকিল, সুমন খান ও এনামুল হক। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শুভাগত হোম, মাহফুজুর রহমান রাব্বী ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাটিংয়ে বরিশালের হয়ে ফিফটি করেছেন সোহাগ গাজী ও ফজলে মাহমুদ রাব্বী। সোহাগ ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন। রাব্বীর ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা ও রংপুরের ম্যাচ ২৫ ওভারের বেশি হয়নি। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা ২ উইকেটে ৭৯ রান করেছে। এনামুল হক বিজয় আরেকটি ফিফটি তুলে অপরাজিত আছেন। ৫ রানে ব্যাটিং করছেন মোহাম্মদ মিঠুন। অমিত মজুমদার শূন্য এবং রবিউল ইসলাম রবি ১৭ রানে সাজঘরে ফিরেছেন।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচে ১৩ উইকেট পড়েছে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম মাত্র ১৬০ রানে গুটিয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে ঢাকা মেট্রো ১ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে। যদিও তারা হারিয়েছে ৩ উইকেট। আইচ মোল্লা ৩৫ ও রাকিবুল হাসান ১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। এর আগে রাকিবুল হাসান ও আরিফ আহমেদের ঘূর্ণিতে চট্টগ্রাম গুটিয়ে যায় অল্পতে। চট্টগ্রামের হয়ে এদিন সব ব্যাটসম্যান লেগেছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। নয় নম্বরে নামা আশরাফুল হাসান সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন।