দেহঘড়ি

পিরিয়ডের রক্তের রং বদলে যায় যেসব কারণে

নারীর শারীরিক সুস্থতা-অসুস্থতার লক্ষণ বহন করে পিরিয়ডের রক্তের রং। রক্ত শরীরের একধরনের বিশেষ টিস্যু বা জলীয় অংশ। রক্তে রয়েছে নানা ধরনের কণিকা। যেমন লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেট। শরীরে কোনো রোগ হলে এসব কনিকার তারতম্য ঘটে এবং রক্তের রং পাল্টে যায়। 

নারীর ঋতুচক্র বা পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন পরপর হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটে। দেখা যায় যে ২৮ দিনের ৭ দিন আগে বা পরে, অর্থাৎ ২১ থেকে ৩৫ দিন পরপর হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, ২১ দিনের আগে বা ৩৫ দিনের পরে পিরিয়ড হলে এবং তা যদি ৩ দিনের কম বা ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তখন তাকে অনিয়মিত ঋতুচক্র বলে।  পিরিয়ডের স্থায়িত্ব যদি ৩ দিনের কম বা ৭ দিনের বেশি হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অনিয়মিত পিরিয়ড একটি শারীরিক সমস্যা একইরকম ভাবে পিরিয়ডের রক্তের রং হতে পারে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ বহনকারী। পিরিয়ডসের শুরুর সময়টা সাধারণত রক্তের রং একদম টকটকে লাল দেখায়। এটা স্বাভাবিক। এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।  পিরিয়ডসের শেষের দিকে রক্তের রং একটু গাঢ় লাল হয়ে আসে। এটাও স্বাভাবিক।

কখন সতর্ক হওয়া দরকার:

টকটকে লাল: পিরিয়ডের শেষের দিকেও রক্তের রং যদি টকটকে লাল হয় তাহলে গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, ক্লামিডিয়া (chlamydia) এবং গনোরিয়া (gonorrhea)-র মতো সংক্রমণের ফলে রক্তের রং এমন হতে পারে। হতে পারে ফাইব্রয়েডস (fibroids)।

কালচে লাল: পিরিয়ডসের মাঝামাঝি সময়ে পিরিয়ডের রক্তের রং কালচে হওয়া স্বাভাবিক। অনেক সময় জরায়ু থেকে রক্ত যখন একটু দেরিতে ক্ষরণ হয় তখন কালো হতে পারে। তবে, একটানা কয়েক মাস ধরে কালচে রঙের ঋতুস্রাব হলে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

কমলা ঘেঁষা: রক্তের রং যদি কমলা ঘেঁষা হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার বাহুমূলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন অথবা Sexually Transmitted Infection হয়েছে। এর ফলে আপনার শরীর থেকে নির্গত রক্তের রং বদলে গেছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

হালকা গোলাপি: রক্ত যখন সার্ভিকাল ফ্লুইডের সঙ্গে মিশে যায়, তখন রক্তের রং গোলাপি হতে পারে। এটা সাধারণত শুরুর দিকে বা শেষের দিকে হয়। আবার শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে গেলেও রক্তের রং গোলাপি হয়। পিরিয়ডের রক্তের রং হালকা গোলাপি হলে গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস