সাকিব আল হাসানকে আবার কবে জাতীয় দলে দেখা যাবে কিংবা আদৌ দেখা যাবে কিনা সেটা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সাকিব জানিয়েছেন, জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত ওই প্রতিযোগিতার পর জানাবেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সাকিব এই মুহূর্তে জাতীয় দলে খেলার অবস্থায় নেই। দেশের ক্রিকেট বোর্ডও সাকিবের পাশে থাকতে পারছে না নানা জটিলতায়। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের হয়ে খেলার মতো মানসিক অবস্থায় সাকিব নেই বলেই জানালেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফারুক আহমেদ বলেছেন, “সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে আসলে খুব বেশি উত্তর দিতে পারি না। আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করা হলে আমি ঠিক বিব্রত হই না, আমি চাই সাকিব খেলুক। কিন্তু ওর ব্যাপারটা আসলে পুরোপুরি... যে কারণে ও আসতে পারছে না, এটা কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়। তাই আমার জন্য এটার উত্তর করা খুব কঠিন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কোর্ট আছে, তাদেরই ব্যাপারটা মীমাংসা করতে হবে।”
দেশের ক্ষমতা বদলের পর সাকিব পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলেছেন দেশের বাইরে থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সাকিব খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশে তার নিরাপত্তা এবং দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার সবুজ সংকেত না পাওয়ায় আর দেশে আসা হয়নি। দেশের বাইরে থেকে কেবল অ্যাওয়ে সিরিজে সাকিবের অংশগ্রহণও ভালোভাবে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে দলের ভারসাম্য নষ্ট হয় বলে দাবি অনেকেরই। এ অবস্থায় আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার অংশগ্রহণও ঝুলে গেছে।
ফারুক আহমেদ যা বললেন তাতে দাঁড়ায়, জাতীয় দলের দরজাটা সাকিবের জন্য ‘বন্ধ’ হয়ে গেছে, “(চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য) সাকিব তো এখনও আমাদের লিস্টে আছে। আমরা আশা করি, সে যেভাবে চাচ্ছে বা এটা যদি একটা সমাধান হয়, আমি মনে করি সাকিব এখনও ক্ষমতা রাখে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। তবে এভাবে আসলে একজন ক্রিকেটারের জন্য কঠিন। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলা আর দেশের হয়ে খেলা এক কথা নয়। প্রস্তুতি পর্ব হয়, দলের যেটা দরকার হয় খুব বেশি। এটা যেহেতু করতে পারছে না, আমার মনে হয় ও তাই এখন দেশের হয়ে খেলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। সেক্ষেত্রে আমরা এই জিনিসটা ওর ওপরেই ছেড়ে দিয়েছি।”
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যাওয়া সাকিব এখন কেবল ওয়ানডে খেলে যাচ্ছেন।