বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ইস্যুতে নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে এই পরিস্থিতির জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ী।’’ তার ভাষ্য, ‘‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ঐক্য ও অখণ্ডতাকে ধ্বংস করেছেন।’’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব এমন মন্তব্য করেন।
এএনআই-কে ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব বলেন, “বাংলাদেশে যা কিছু ঘটছে এবং বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় বাংলাদেশের মতো ধর্মীয় সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটছে; তার নিন্দা জানানোর জন্য আমার অবস্থান একই। ধর্মের নামে হিংসা-বিদ্বেষ, আদর্শের নামে, রাজনৈতিক মতাদর্শের নামে চরমপন্থার নিন্দা জানানো উচিত।’’
তিনি বলেন, “যখন আমাদের দেশে (ভারতে) এ ধরনের ঘটনা ঘটে কিংবা প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছি। আমাদের দেশের ঘটনা হোক কিংবা অন্য দেশের ঘটনা হোক, ধর্মের নামে ঘৃণা ও সহিংসতার সরাসরি নিন্দা জানানো উচিত। এক্ষেত্রে ‘যদি’ এবং ‘কিন্তু’ থাকা উচিত নয়।’’
ইরফান হাবিব বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা তার নিজের দেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতাকে ধ্বংস করেছেন, এটি দুঃখজনক। সেখানে মানুষ ধর্মের নামে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছেন। ১৯৪৭ সালে ধর্মের নামে ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান গঠিত হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে ভাষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কিত সমস্যা ছিল বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল।’’
বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তার সবকিছুর দায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলে মনে করেন ইরফান হাবিব। তিনি বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার শাসনামল ভাল ছিল না।”
তিনি বলেন, “ধর্মের নামে বাংলাদেশে চলমান সহিংসতার ঘটনাগুলো খুবই দুঃখজনক। আমি এর জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করি, তার শাসন ব্যবস্থার কারণেই এখন এসব হচ্ছে। শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থা ভাল ছিল না এবং সেই কারণেই এই লোকেরা সুযোগ পেয়েছে। এটি একটি বড় দুঃখের বিষয়।”
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত হন। ৭৬ বছর বয়সী হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।