জাতীয় ক্রিকেট লিগ একদম ভালো যাচ্ছিল না রনি তালুকদারের। আগের ছয় রাউন্ডে ফিফটি কেবল দুইটি। সেঞ্চুরির কাছাকাছি কোনো ইনিংস নেই। শেষ রাউন্ডে এসে তিন অঙ্কের অপেক্ষা ফুরালো তার।
রবিবার (০১ ডিসেম্বর, ২০২৪) বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের এই ওপেনার তুলে নেন সেঞ্চুরি। বরিশালের করা ২৮৯ রানের জবাবে ঢাকার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩০৩। রনি একাই করেছেন ১১২ রান। ২০২ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় রনি ইনিংসটি সাজান। এছাড়া আশিকুর রহমান শিবলি ৩৩ ও তাইবুর রহমান পারভেজ ৩২ রান করেন। ৩৫ রানে অপরাজিত আছেন পেসার সুমন খান। তার সঙ্গী এনামুল হকের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে লিড পায়নি সিলেট। তাদের ২২৬ রানের জবাবে সিলেটের ইনিংস থামে ২১২ রানে। অধিনায়ক অমিত হাসান আরেকটি ফিফটি পেয়েছেন। ৫৩ রান করে আসাদুজ্জামান পায়েলের বলে আউট হন। সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে পিনাক ঘোষের ব্যাট থেকে। এছাড়া নাঈম হোসেন সাকিব করেন ৩০ রান। বল হাতে রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জাদান পায়েল ও ওয়াসি সিদ্দিকী।
এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৩ উইকেটে ৭০ রান তুলে দিন শেষ করেছে। হাবিবুর রহমান ২৮ ও মেহরব হাসান ৩২ রানে সাজঘরে ফিরেছেন। তিনে নেমে ওয়াসি করেন মাত্র ২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহীর লিড ৮৪ রান।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় খুলনার অধিনায়ক মিথুন। ৮৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন তিনি। ১৪৬ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় মিথুন ইনিংসটি সাজান। তার ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে ২৪০ রান করেছে খুলনা।
এদিকে শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ভালো অবস্থানে নেই চট্টগ্রাম বিভাগ। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগছে তারা। ৬ উইকেটে ১৭৩ রান তুলেছেন এখন পর্যন্ত। লিড কেবল ৬৫ রানের। তাদের প্রথম ইনিংসে করা ১৬০ রানের জবাবে ঢাকা মেট্রো তুলেছে ২৬৮। চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে আশরাফুল হাসান ৪টি ও নাঈম হাসান ৩টি উইকেট নেন। চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও ভালো হয়নি। সাদিকুর রহমান ৩৫, সাজ্জাদুল হক ৫৪ ও নাঈম হাসান অপরাজিত ৩৪ রান করেছেন।