রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়টিকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। পাশাপাশি এই কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সাদাপোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি চলছে।
রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়টি নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকায়। সহকারী হাইকমিশন ভবনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আগে শুধু প্রধান ফটকে আগত ব্যক্তির ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেখতো পুলিশ। এর পাশাপাশি তল্লাশি চলতো। এখন এগুলোর পাশাপাশি হাইকমিশনারের কার্যালয় ঘিরেই বাড়তি আরও দুই স্তরের নিরাপত্তা গ্রহণের চিত্র দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সহকারী হাইকমিশন ভবন যাওয়ার রাস্তার প্রবেশ মুখেই পুলিশের একটি পিকআপ। সেখানে তিনজন পুলিশ সদস্য সহকারী হাইকমিশন ভবনের দিকে যাওয়া পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। মোটরসাইকেল আরোহীদেরও থামানো হচ্ছে।
এরপর সহকারী হাইকমিশন ভবনের পাশেই পুলিশের আরেকটি দলকে দেখা যায়। সেখানে পুলিশ লাইন্স থেকে আসা আরেকটি পিকআপ ভ্যানও ছিল। এর পাশেই সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের আরেকটি দল। কেউ সহকারী হাইকমিশন ভবনে ঢুকতে হলে তাকে এখানে আরেকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তল্লাশি তো আছেই। সহকারী হাইকমিশনের ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ থাকলেই কেবল ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে পুলিশ।
সহকারী হাইকমিশন ভবন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে এই বাসভবনের ফটক ঘিরে ৬ জন পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা যায়।
নগরের বর্ণালী মোড়ে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পাওয়ার কারণে এখানে ভিসার আবেদন আসা একেবারেই কমে গেছে। ভিসা আবেদন কেন্দ্রে অবশ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। ভিসার আবেদন নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে তল্লাশি করেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “বেশ কিছু দিন ধরেই ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর তাদের আরও সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।”
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবন এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্র ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে আশপাশের এলাকা ঘিরে।”
তিনি বলেন, ”এসব স্থাপনায় হামলার কোন শঙ্কা নেই। তারপরেও আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।”