প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রেখেছিল সিলেট বিভাগ। এক ম্যাচ হাতে রেখে মেইডেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ তারা নিশ্চিত করেছিল ষষ্ঠ ম্যাচে। সপ্তম রাউন্ডের খেলা তাদের জন্য ছিল অপরাজিত থাকার লড়াই ও আনুষ্ঠানিকতা।
সেই লড়াইয়ে রাজশাহীর সঙ্গে পেরে না উঠলেও তাদের শিরোপার আনন্দ একটুও কমেনি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেয়িামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলে সিলেট। বিজয়ী দলের অধিনায়ক অমিত হাসান যখন শিরোপায় চুমু খান তখন গায়ে ছিল চ্যাম্পিয়নস লিখা জার্সি। ইবাদত, রাহী, খালেদরাও একই জার্সি গায়ে চাপিয়ে মেতে উঠে ওই শিরোপার ছোঁয়া পেয়ে।
সিলেটকে হারাতে শেষ দিনে ২ উইকেট লাগত রাজশাহীর। সিলেটের প্রয়োজন ছিল ৫৯ রান। শিরোপা জয়ীরা বেশিদূর এগোতে পারেনি। ৪ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে শেষ ২ উইকেট হারায়। লিগে সাত ম্যাচে এটি তাদের প্রথম হার। সব মিলিয়ে ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৪৬ রানে থেমে যায় সিলেটের ইনিংস।
৫৪ রানে ম্যাচ হারলেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে শিরোপা পেয়েছে তারা। ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সাত ম্যাচে চারটি জয় ও দুটি ম্যাচে ড্র করেছে সিলেট।
এদিকে জয় তুলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন রাজশাহী বিভাগের ফরহাদ রেজা। তাকে বিসিবি তুলে দেওয়া হয় স্মারক। সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের থেকে খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফ সম্বলিত জার্সিও পেয়েছেন ডানহাতি পেস অলরাউন্ডার। ২০০৫ সালে খেলা শুরু করেছিলেন ফরহাদ। ১৯ বছরের লম্বা সফরে ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। রান করেছেন ৫৯০৪। উইকেট পেয়েছেন ৩১৫টি।
রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৫ উইকেট নেন স্পিনার নিহাদুজ্জামান। ৩ উইকেট পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম। ম্যাচে মোট ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন নিহাদুজ্জামান। এছাড়া টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার উঠেছে সিলেটের অধিনায়ক অমিত হাসানের হাতে। লিগে সর্বোচ্চ ৭৮৫ রান করেছেন তিনি। পেয়েছেন টপ স্কোরারের পুরস্কারও।
এদিকে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জয় পেয়েছে বরিশাল বিভাগ। ২২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকা বিভাগ গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৮ রানে। বল হাতে পেসার রুয়েল মিয়া একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন মোজাম্মেদ হাসান শাকিল। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রনি তালুকদার দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ৩৭ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। এছাড়া আরিফুল হক ২১ ও তাইবুর রহমান ১৭ রান করেন।
এর আগে ৫ উইকেটে ২০৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশালের ইনিংস থামে ৩৪ রান যোগ করে। ঢাকা বিভাগকে ২২১ রানের লক্ষ্য দিয়ে তারা ম্যাচ জিতে নেয় ১২২ রানে। ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন রুয়েল। সাত ম্যাচে দুই জয়, চার ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করল ঢাকা।