ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে হওয়া প্রেমের টানে কুমিল্লা থেকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় যান এক প্রবাসীর স্ত্রী। প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে যখন জানতে পারেন, তার প্রেমিক ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং প্রতিবন্ধী। তখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ওই নারী। ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের এই ঘটনায় পুরো এলাকা তোলপাড়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ওই নারী আমাকে ফোন করে সহযোগিতা চান। থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি। পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে মেয়েটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
জানা গেছে, দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের দুলাল হোসেন দলুর প্রতিবন্ধী ছেলে হোসাইন আলী। সে ধলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার একটি চোখ সমস্যা রয়েছে। হোসাইন আলীর সঙ্গে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এক প্রবাসীর স্ত্রীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের দাবিতে গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেমিক হোসাইনের বাড়িতে আসেন ওই নারী। সেখানে এসে তিনি জানতে পারেন তার প্রেমিক স্কুল শিক্ষার্থী এবং চোখে সমস্য রয়েছে।
পরে মেয়েটি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোন করেন। ইউএনও গোলাম ফেরদৌস বিষয়টি ভূরুঙ্গামারী থানাকে অবগত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই দিন রাত ২টার দিকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ অভিভাবককে ভূরুঙ্গামারী নিয়ে এসে তাদের কাছে মেয়েটিকে হস্তান্তর করে পুলিশ।
শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “ছেলেটি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তার একটি চোখ সমস্যা রয়েছে। মেয়েটি বিবাহিতা এবং তার স্বামী বিদেশে থাকে বলে জানিয়েছে।”
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম বলেন, “মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”