ক্যাম্পাস

চবির সাংবাদিকতা বিভাগে প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা স্থগিত

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এবং পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ৪১৯ নাম্বার কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পূর্বের ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে পরীক্ষায় সরবরাহকৃত প্রশ্নের শতভাগ মিল পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পেয়ে চবি উপাচার্য, উপ উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন ওই বিভাগে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৩ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার বিভাগটির শেষ পরীক্ষা ছিল। গতকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে একটি উড়োচিঠি আসে। চিঠিতে ওই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সব কোর্সের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, একজন শিক্ষক তার অনুগত শিক্ষার্থীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে আজ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথে চিঠির প্রশ্নের যাচাই করতে গেলে হুবহু মিল পাওয়া যায়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, “নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী আমরা পরীক্ষা হলে যাই। সাড়ে ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১০.৩১ মিনিটে আমাদের আলী আজগর চৌধুরী স্যার এসে জানান পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে এটি নেওয়া হবে। তারপর আমরা জানতে পারি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।”

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এনায়েতউল্যা পাটওয়ারী বলেন, “চিঠিতে কারও নাম ছিল না। যেহেতু অভিযোগ ছিল, তাই তারা সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিভাগে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে অভিযোগে দেওয়া প্রশ্নপত্রের শতভাগ মিল পান। পরে পরীক্ষা কমিটি এই পরীক্ষা স্থগিত করে।”

এদিকে, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভা শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।