২০০৮ সাল থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলে জিম্বাবুয়ে। সেই থেকে ২০২১ সালের এপ্রিলের আগ পর্যন্ত কোনো জয় পায়নি শেভরনরা। টানা ১৫ ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর ২০২১ সালে পায় প্রথম জয়। এরপর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর পায় দ্বিতীয় জয়। এর ৭৭০ দিন অর্থাৎ ২ বছর ১ মাস ৯ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪) রাতে জিম্বাবুয়ে পেল তৃতীয় জয়।
বুলাওয়েতে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তারা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে গিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ২ উইকেটে। আগে ব্যাট করে সফরকারীরা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তান অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল।
আজ অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৪ রানে প্রথম, ৯ রানে দ্বিতীয় ও ১৯ রানে যেতেই হারায় তৃতীয় উইকেট। দলীয় সংগ্রহ ৫০ পেরুতেই হারায় আরও একটি উইকেট। এরপর ৮২ ও ৯২ রানে আরও দুটি। ১১৯ রানে গিয়ে সপ্তম উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।
পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর সালমান আলী আগা (৩২), তৈয়ব তাহির (২১), কাসিম আকরাম (২০), আরাফাত মিনহাজ (২২*) ও আব্বাস আফ্রিদির (১৫*) ব্যাটে ভর করে ১৩২ পর্যন্ত যায়।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগ্রাভা, টিনোতেন্দা মাপোসা ও রায়ান বার্ল।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা পাকিস্তানের চেয়ে ভালো করে জিম্বাবুয়ে। তাতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় তারা। ব্রিয়ান বেনেটের ৪৩, মুরুমানির ১৫, ডিওন মায়ার্সের ১৩ ও সিকান্দার রাজার ১৯ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ৮৫ রান তুলে ফেলে। এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও মাপোসা ৪ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ১২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বল হাতে পাকিস্তানের আব্বাস আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। জাহানদাদ খান ২.৫ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
৪৩ রান করে ম্যাচসেরা হন জিম্বাবুয়ের বেনেট। আর ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন পাকিস্তানের তরুণ স্পিনার সুফিয়ান মুকিম।