বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া নোবেল পুরস্কার পুনর্মূল্যায়ন করতে নোবেল কমিটির কাছে চিঠি লিখেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির এক সংসদ সদস্য। শুক্রবার কমিটির কাছে পাঠানো চিঠির ছবি তিনি এক্স-এ পোস্ট করেছেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মিথ্যা দাবি করে পুরুলিয়ার সংসদ সদস্য জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো পোস্টে লিখেছেন, “আমি যন্ত্রণার সাথে লিখছি যে বাংলাদেশের হিন্দুরা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অকথ্য ভয়াবহতার মুখোমুখি হচ্ছে- গণহত্যা, মন্দির ধ্বংস এবং নিপীড়ন। নোবেল কমিটি, একজন ‘শান্তি বিজয়ী’ কীভাবে এটি করতে দেন? এই নৃশংসতার নিন্দা করতে এবং পুরস্কারের সততা বজায় রাখার জন্য এখনই কাজ করুন।”
চিঠিতে মাহাতো লিখেছেন, “আমি...এমন ব্যক্তিদের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের মর্মান্তিক বিড়ম্বনা তুলে ধরতে বাধ্য হচ্ছি যাদের উত্তরাধিকারে এখন সহিংসতা ও অবিচারের দাগ। এই চিঠিটি বিশেষভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর গুরুতর নৃশংসতার কথা উল্লেখ করছে। ডক্টর ইউনূস, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তার কাজের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত, এখন মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করার বা এ ব্যাপারে অন্ধ থাকার জন্য অভিযুক্ত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তার নেতৃত্বে হিন্দু সম্প্রদায় অকথ্য ভয়াবহতার সম্মুখীন হয়েছে...।”
সিং কমিটিকে ‘ডঃ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতার নিন্দা’ জানাতে নোবেল কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি কমিটিকে ‘এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মানের প্রাপকরা যাতে তাদের সারাজীবন সর্বোচ্চ নৈতিক মান বজায় রাখেন তা নিশ্চিত করার জন্য প্রক্রিয়াগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরেই বাংলাদেশে সংখ্যলঘু নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য ছড়াতে শুরু করে ভারতীয় গণমাধ্যম। সম্প্রতি দেশটির রাজনীতিবিদরাও এসব ভিত্তিহীন দাবি করছেন।