তথাকথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসতের হোটেলগুলো। শুক্রবার হোটেল মালিকদের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রতিদিন এ তথ্য জানিয়েছে।
সীমান্ত লাগোয়া বনগাঁ, বসিরহাট পেরুলেই বারাসত। চিকিৎসার জন্য সারা বছর ধরেই এখানে বাংলাদেশিদের যাতায়াত। বারাসত স্টেশন লাগোয়া হোটেলগুলোতে অনেক বাংলাদেশি উঠতেন।
শুক্রবার সকালে বারাসতের বিভিন্ন গেস্ট হাউসে বাংলাদেশিদের থাকতে না দেওয়ার আবেদন জানান স্থানীয় হিন্দুরা। বারাসাতের বেশ কয়েকটি বড় গেস্ট হাউসে গিয়ে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন, “যারা বাংলাদেশে হিন্দু ভাইবোনদের উপর অত্যাচার করছে, তারা যদি কেউ ওদেশ থেকে এদেশে এসে থাকতে চান, তাদের কোনো গেস্ট হাউস ভাড়া দেবেন না।”
বারাসতের এক গেস্ট হাউসের ম্যানেজার সমরজিৎ কর বলেন, “আগে দেশ, দেশের সম্মান, পরে ব্যবসা। তাতে যত ক্ষতি হয় হোক। আমরা একমাস ধরেই বাংলাদেশিদের আর হোটেলে থাকতে দিচ্ছি না। চিকিৎসার জন্য এখানে আসতেন অনেকে। কিন্তু আমরা তাদের এখন আর আশ্রয় দিচ্ছি না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আমরা পরিষেবা চালু করব।”
স্থানীয় বাসিন্দা পার্থবাবু বলেন, “বাংলাদেশে জিহাদের বীজ ছড়াচ্ছে শত্রুরা। তাই হোটেলগুলোকে বলেছি, তাদের কোননো জায়গা দেবেন না। ভারতের সুনাগরিক হিসেবে আমরা এটা বলছি। আমাদের প্রতিবাদ এটাই।”
এর আগে ত্রিপুরা এবং মালদহেও হোটেল কর্তৃপক্ষ সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশিদের জন্য ‘নো এন্ট্রি’ জারি করেছিল। এবার সেই তালিকায় যোগ হল বারাসত।