ছয় সপ্তাহের বেতন-ভাতা না পাওয়ায় হবিগঞ্জ জেলায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয়টি চা বাগানের প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দেননি। দুই সপ্তাহের মজুরি পরিশোধের কথা দিলেও শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত টাকা না দেওয়ায় জেলার মাধবপুরে তেলিপাড়া, জগদীশপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডিছড়া, পারকুল, নাসিমাবাদ ও সাতছড়ি চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি।
বিকেলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে রোববার (৮ ডিসেম্বর) বকেয়া পরিশোধের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
জেলার মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন (এনটিসির) ৬টি চা বাগানে শ্রমিক সংখ্যা ৩ হাজার ৮৫০ জন। লোকসানে থাকায় ও ব্যাংক ঋণ না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ ১২ সপ্তাহ ধরে এসব শ্রমিকের বেতন বন্ধ রাখে। এর মধ্যে বকেয়া পাওয়ার দাবিতে ৬ সপ্তাহ ধরে কাজ করেননি শ্রমিকরা।
নৃপেন পাল জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের ২ সপ্তাহের বকেয়া মাথাপিছু ২ হাজার ২০০ টাকা করে পরিশোধ করার কথা। ওই দিনই শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু শনিবার পর্যন্ত শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পাননি।
এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘‘শ্রম অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, রোববারের মধ্যে শ্রমিকদের হাতে টাকা পৌঁছাবে। আর তখন থেকে তারা বাগানে পাতা উত্তোলনের কাজ করবেন।’’
এনটিসির মালিকানায় হবিগঞ্জের মাধবপুরে তেলিপাড়া ও জগদীশপুর চা বাগানে নিয়মিত শ্রমিক সংখ্যা ১ হাজার ৭০০ এবং চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডিছড়া, পারকুল, নাসিমাবাদ ও সাতছড়ি বাগানে শ্রমিক রয়েছে আরও ২ হাজার ১৫০ জন।
চা উৎপাদনের মৌসুমে শ্রমিক ধর্মঘটে এনটিসির এ ছয়টি বাগানের লোকসান বেড়েছে এবং শ্রমিকরাও বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।