খেলাধুলা

রুটের সেঞ্চুরিতে সিরিজ ইংল্যান্ডের

আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ৭৩ রানে। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল। শঙ্কাও ছিল। তবে দুই সতীর্থের মতো নার্ভাস নাইন্টিজের ঘরে বিদায় নিলেন না জো রুট। তুলে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৬তম সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে ৩২৩ রানের বড় জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো ইংল্যান্ড। 

২০০৮ সালের নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডের প্রথম সিরিজ জয় এটি। মাঝের ১৫ বছরে চারটি সিরিজ খেলে দুটিতে হেরেছিল, দুটি ড্র করেছিল।

নিউ জিল্যান্ডের জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ৫৮৩ রান। পাহাড়সম এই রান তাড়া করে জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ডই গড়তে হতো। কিন্তু সেই সুযোগ পাননি তারা। ইংল্যান্ডের বোলিং তোপে প্রথম দশ ওভারের মধ্যেই এলোমেলো হয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড।

শুরুতেই ডেভন কনওয়েকে ফেরান ক্রিস ওকস। টিকতে পারেননি উইলিয়ামসনও। ওকসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ব্রাইডন কার্স অধিনায়ক টম ল্যাথামকে তুলে নিলে ৩৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলকে পথ দেখান টম ব্লান্ডেল ও স্মিথ। দুজন সপ্তম উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়েন।  ব্লান্ডেল ৯৬ রানে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে আউট হন ১০২ বলে ১১৫ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছয় ও ১৩টি চার।

অনেকদিন ধরেই বল করছেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে নিয়েই বাজিমাত করলেন এই অলরাউন্ডার। ২.২ ওভার বল করে ৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ২৫৯ রানেই আটকে দেন নিউ জিল্যান্ডকে।

এর আগে আগের দিনের ৫ উইকেটে ৩৭৮ রানের সঙ্গে সকালে ১ উইকেটে আরো ৪৯ রান যোগ করে ইংল্যান্ড। এই সময়েই নিজের ৩৬ টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রুট। ১৩০ বলে ১০৬ রান করে রুট ও’রুর্কির বলে ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ হলে ৬ উইকেটে ৪২৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর ইংল্যান্ড: ২৮০ ও ৪২৭/৬ ডিক্লে. (রুট ১০৬, বেথেল ৯৬; সাউদি ২/৭২)।  নিউ জিল্যান্ড: ১২৫ ও ২৫৯ (ব্লান্ডেল ১১৫, স্মিথ ৪২; স্টোকস ৩/৫, ওকস ২/২০)।  ফল: ইংল্যান্ড ৩২৩ রানে জয়ী।  ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হ্যারি ব্রুক।  সিরিজ: তিন টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে।