সম্প্রতি বিদ্রোহীদের হাত ধরে নতুন যুগ শুরু হয়েছে সিরিয়ায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ (৫৯) পালিয়ে গেছেন। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দেশটির জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, একটি প্লেনে করে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার। তবে, তার গন্তব্য কোথায় তা এখনো জানা যায়নি।
বাশার আল-আসাদ কে?
১৯৬৫ সালে দামেস্কে জন্ম বাশারের। শৈশবে সেখানেই পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। পরে দামেস্ক ইউনিভার্সিটিতে চক্ষুবিজ্ঞানে পড়েছেন। একই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গিয়েছিলেন বাশার।
কিন্তু, ১৯৯৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় বড় ভাই বাসেলের মৃত্যুর পর বাবার নির্দেশে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর সিরিয়ায় সামরিক বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।
২০০০ সালে বাবার মৃত্যুর পর মাত্র ৩৪ বছর বয়সে সিরিয়ার ক্ষমতায় বসেন তিনি। তবে, ২০১১ সালে বাশারের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি।
এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এতে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। পরবর্তীতে বাশার আল-আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রাশিয়া, ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ। এতে বিদ্রোহীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়া, ইরান তার চিরশত্রু ইসরায়েলের দিকে মনোনিবেশ ও ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ব্যস্ত থাকার সুযোগে বিদ্রোহীরা আবারো তৎপর হয়ে উঠে। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি বিদ্রোহীরা হামলা শুরু করে এবং হামলার মুখে নাটকীয়ভাবে দামেস্ক ছেড়ে পালান বাশার আল-আসাদ।