বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি জিএম কাদেরসহ অনুসারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের ডিসি ও ওসিকে এ নোটিশ পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, ‘‘গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশলে বেঁচে যান। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০ ১৪ সাল, ১৮ সাল, সর্বশেষ ২৪ সাল স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করার সাহস পেয়েছে। জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। শুধুমাত্র তথাকথিত গৃহপালিত দল তথা বিরোধীদল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সাথে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সকল অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়েছে যে পথ দিয়ে, জাতীয় পার্টিকে যেতে হবে সে পথ দিয়ে।’’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘‘জাতীয় পার্টি একটি জাতীয় বেঈমান। বারবার তারা প্রমাণ করেছে। শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করতেছে।আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী এমপিরা গ্রেপ্তার হলেও জাতীয় পার্টির মন্ত্রী এমপিরা আসামি হওয়ার পরও তাদের গ্রেপ্তার না করে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হচ্ছে। আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের কিসের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। জনমনে এই প্রশ্ন এখন প্রবল হয়ে উঠছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেও জিএম কাদেরসহ তার অনুসারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র জনতা মর্মাহত। জিএম কাদের মিরপুর মডেল থানার আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না।’’