ময়মনসিংহ বিভাগের মানচিত্র আগেই পাজলে বসানো ছিল। বাকি সাত বিভাগের মানচিত্র বসালেন সাত বিভাগের দলের প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিল ঢাকা মেট্রোও। তাতে পূর্ণ হয় পুরো বাংলাদেশের মানচিত্রের পাজল। এরপর হাইড্রোলিক গিয়ারে পেছন থেকে সামনে আসে সোনালি রঙের আকর্ষণীয় ট্রফি।
সাত বিভাগীয় দল এবং ঢাকা মেট্রো দল নিয়ে আগামী ১১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি আসর। রোববার বিকেলে জমকালো আয়োজনে প্রতিযোগিতার ট্রফি উন্মোচন করা হয় মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ফাহিম সিনহা, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফারমান আর. চৌধুরী ও রিমার্ক-হ্যারল্যান গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর মিজানুর রহমান। এনসিএল টি-টোয়েন্টির সব ম্যাচ হবে সিলেট। সব মিলিয়ে ৩২টি ম্যাচ হবে সিলেটে। প্রতিযোগিতার ১৮টি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস। বাকি ১৪টি ম্যাচ দেখা যাবে টি স্পোর্টসের ইউটিউব পেজ ও অ্যাপে।
এর আগে একাধিকবার স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন হয়েছে টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা। কিন্তু ক্রিকেটের বর্ষপঞ্জিতে রাখা হয়নি এই ফরম্যাট। এবারের আসর মাঠে গড়ানোর আগে আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রতি বছরই হবে এই প্রতিযোগিতা। বাড়তি নজর কাড়ার জন্য পৃথক অনুষ্ঠানে লোগো উন্মোচন, ট্রফি উন্মোচন করা হলো।
টুর্নামেন্টের প্রাইজমানিও স্ট্যান্ডার্ড রাখা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০ লাখ টাকা। রানার্সআপ দল পাবে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ২০ হাজার টাকা এবং প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট পাবেন ২ লাখ টাকা। বড় ধৈর্ঘ্যর টুর্নামেন্টের মতো এখানে অবশ্য সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীকে পুরস্কার দেওয়া হবে না।
আট দল প্রত্যেকে সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে একে অপরের মুখোমুখি হবে। ম্যাচগুলো হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই মাঠে। শেষ চারটি ম্যাচ হবে মিরপুরে। যেখানে দুটি কোয়ালিফায়ার , একটি এলিমিনেটর ও ফাইনাল রয়েছে।
প্রতিযোগিতার প্লাটিনাম স্পন্সর আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপ এবং সিলভার পার্টনার রিমার্ক-হারল্যান। বিপিএলের আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে বাড়তি রঙ লাগল। ক্রিকেটাররা সেই রঙ কতটা ছড়িয়ে দিতে পারেন সেটাই দেখার।