৭-১-২৪-৩, যুব এশিয়া কাপ ফাইনালে বাংলাদেশের পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের বোলিং ফিগার এটি। স্কোরবোর্ডে পুঁজি মাত্র ১৯৮। এই রান নিয়ে শিরোপা জিততে চাই ইকবালের মতোই বোলিং প্রয়োজন। দলের দাবি মিটিয়েছেন এই পেসার।
ভারতের মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান কার্থিকেয়া ও নিকিল কুমারকে নিজের প্রথম ওভারে ফিরিয়ে ম্যাচের ভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসেন ইকবাল। এক ওভার পর তার শিকার উইকেট রক্ষক হারভংশ পানঙ্গালিয়া। দুই ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের মিডল অর্ডার ভেঙে দেন এই পেসার। পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের চাকা আটকে রেখেছিলেন। তাতে দল ফাইনাল জিতেছে বিশাল ব্যবধানে।
যে জয়ের নায়ক ইকবাল। ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। এছাড়া আসরজুড়ে অসাধারণ বোলিং উপহার দেওয়া ইকবাল হোসেন ইমন জ্বলে উঠলেন ফাইনালেও। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দুটি পুরস্কার জিতলেন ১৮ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার।
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনি। আসরজুড়ে অসাধারণ বোলিং করেছেন এই তরুণ তুর্কী। ৫ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। ফাইনালের আগে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ইকবাল।
গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১, নেপালের বিপক্ষে ২ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। ১৩ উইকেট নিয়ে ইকবাল টুর্নামেন্টের সেরা বোলারও।