আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিমান হামলা

সিরিয়ায় গতকাল রবিবার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনব্যবস্থার পতনের পর সরকারি বাহিনীর অস্ত্রের গুদাম লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। খবর আল জাজিরার। 

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ইসরায়েল সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অস্ত্রের ডিপোতে হামলা চালিয়েছে।

মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থাটির প্রধান রামি আবদেল রহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “ইসরায়েল পূর্ব দেইর ইজ জোর প্রদেশে বিলুপ্ত শাসক ও ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর অস্ত্রের ডিপো এবং অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।"

তিনি যোগ করেন, “বিরোধীরা রাজধানী দখল করার পর থেকে এই ধরনের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েল কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়েছে।”

সিরিয়ায় স্থল সেনাও মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বাহিনী চারটি ফ্রন্টে অবস্থান করছে: অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা, লেবানন এবং সিরিয়া।

টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সিরিয়ার ভূখণ্ডে স্থল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা বিমান, নৌ এবং গোয়েন্দাসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য শাখার সাথে কাজ করছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, তারা সিরিয়ায় আইএসআইএসকে ‘সুযোগ’ নিতে দেবে না। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, তারা মধ্য সিরিয়ায় আইএসআইএস ক্যাম্প এবং নেতাদের ওপর ‘ডজনখানেক নির্ভুল বিমান হামলা’ পরিচালনা করেছে।

এক্স পোস্টে সেন্টকম লিখেছে, “অভিযানটিতে বি-৫২এস, এফ-১৫এস এবং এ-১০এস সহ অন্যান্য মার্কিন যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ৭৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন চলছে। বেসামরিক হতাহতের কোনো ইঙ্গিত নেই।” 

সেন্টকম আরও লিখেছে, ‘আমরা সিরিয়ার নতুন পরিবর্তিত অবস্থার মধ্যেও ‘আইএসআইএসের অপারেশনাল সক্ষমতা হ্রাস করতে’ এই অঞ্চলের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।”

জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেন, “কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়- আমরা আইএসআইএসকে পুনর্গঠন করতে এবং সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিতে দেব না।”

তিনি আরো বলেন, “সিরিয়ার সব সংস্থার জানা উচিত যে, তারা আইএসআইএসের সঙ্গে অংশীদার বা সমর্থন করলে আমরা তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনবো।”

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনে সিরীয়রা দেশ পুনর্গঠনের ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় রবিবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।