বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি নির্ধারিত সময়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। ফলে, এ ব্যাংককে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে এ নিয়ে ৫ দফা সময় পেলো ব্যাংকটি। বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন এ ব্যাংককে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে।
গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪৩৮তম আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৭ জুন সীমান্ত ব্যাংককে সম্মতিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের বছর ২১ জুলাই ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘শিডিউলড ব্যাংক’ হিসেবে নথিবদ্ধ হয় এবং ১ আগস্ট গেজেটভুক্ত হয়। পরে বিজিবির ৪০০ কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ শেষে সীমান্ত ব্যাংকের এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু, পরিস্থিতি বিবেচনায় পাঁচ বছর সময় দেওয়া হয়। তারপরও সীমান্ত ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে পুঁজিবাজার আসতে পারেনি। এখন পঞ্চম দফায় সময় চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সময় বাড়িয়েছে।