বিনোদন

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ কতটা প্রভাব ফেলেছিল আমিরকন্যার জীবনে

১৯৮৬ সালের ১৪ মার্চ। বলিউড অভিনেতা আমির খানের বয়স তখন ২১। অন্যদিকে অভিনেত্রী রিনা দত্তর বয়স ১৯। কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন এই জুটি। এরপর নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান। কারণ রিনার পড়াশোনা তখনো শেষ হয়নি। আর আমিরও তখন খুব বেশি আয় করতেন না।

‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমার পর আমির-রিনার প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। রিনা ও আমিরের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনাইদ খান ও ইরা খান। কিন্তু পরবর্তীতে সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে আমিরের প্রেমের গুঞ্জন রিনার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

আমির-রিনা দত্তর যখন বিচ্ছেদ ঘটে, তখন তাদের সন্তান জুনাইদ খানের বয়স ৯ আর ইরা খানের বয়স ৫ বছর। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ তাদের ওপরে কতটা প্রভাব ফেলেছিল, তা নিয়ে কথা বলেছেন আমিরকন্যা ইরা খান।

পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরা খান বলেন, “তারা কখনো আমাদের আশেপাশে ঝগড়া করেননি। বরং তারা যে এক তা আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। পুরো ঘটনার মধ্যেও দুই পরিবার পরস্পরকে ভালোবেসেছে। এই বিচ্ছেদ আমার মাঝে নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলেনি।”

আমির খান ও রিনা দত্তের বিচ্ছেদের বিষয়টি একদিনের ঘটনা নয়। এটি এমন ব্যাপার যা তাদের জীবন বদলে দিয়েছে। ইরা খান বলেন, “আমি বড় হতে হতে বুঝতে পেরেছি, কিছু একটা সম্পর্ক যা ভেঙে গেছে। হয়তো এটা ভালোর জন্যই শেষ হয়েছে; ঠিকঠাকভাবে শেষ হয়েছে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যথা আছে, যেটা যেকোনো কিছু ভাঙার সঙ্গে আসে। সন্তান হিসেবে সেই ব্যথা সচেতনভাবে অস্বীকার করছি।”

গুরুত্বপূর্ণ উপলদ্ধির কথা জানিয়ে ইরা খান বলেন, “বিষয়টি আমি আমার থেরাপিস্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি শিখেছি, এ বিষয়ে কাউকে দোষারোপ করার প্রয়োজন নেই; যা ঘটেছে তা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ।”

বাবা-মায়ের প্রশংসা করে ইরা খান বলেন, “আমাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত বোধ করানোর জন্য দুর্দান্ত কাজ করেছেন আমাদের বাবা-মা। তারা আলাদা হয়ে গেলেও আমরা এখনো সমানভাবে ভালোবাসা পাই।”